শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সভায় কর্মকর্তারা, প্রেসক্লাবে জড়ো হচ্ছেন ১৮তম নিবন্ধনে বঞ্চিতরা

প্রেসক্লাবের সামনে ১৮তম নিবন্ধনে বঞ্চিতদের অবস্থান
প্রেসক্লাবের সামনে ১৮তম নিবন্ধনে বঞ্চিতদের অবস্থান © সংগৃহীত

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) দুটি বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে সভায় বসতে যাচ্ছে। আজ রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সভা দুটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। দুটি সভাতেই মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহেনা পারভীন সভাপতিত্ব করবেন।

এদিকে এ সভা ঘিরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছেন ১৮তম নিবন্ধনের চাকরিপ্রার্থীরা। গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ফলাফলে বৈষম্যের অভিযোগে প্রতিবাদ ও সনদ প্রদানের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। এরপর গত ২১ সেপ্টেম্বর শিক্ষা সচিব রেহানা পারভীনের আশ্বাসে অনশন কর্মসূচি ভাঙ্গেন ফল প্রত্যাশী প্রার্থীরা।

সচিব রেহানা পারভীন চাকরিপ্রার্থীদের আজ রবিবার অথবা আগামীকাল সোমবারের মধ্যে বিষয়টির সমাধান দেওয়ার আশ্বাস দেন।

চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, এনটিআরসিএ-এর বিধি অনুযায়ী লিখিত ও মৌখিক উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম ৪০ শতাংশ নম্বর অর্জনকারীদের উত্তীর্ণ বিবেচনা করার কথা। ২০১৫ সালের গেজেটেও এ নিয়ম স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকলেও ১৮তম পরীক্ষায় তা মানা হয়নি। ফলে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অনেক প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অন্যায়ভাবে বাদ পড়েছেন।

তাদের অভিযোগ, ই-সনদে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর উল্লেখ করা হয়নি, যা ফলাফলের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। পূর্ববর্তী নিবন্ধন পরীক্ষাগুলোতে (১ম থেকে ১২তম) মৌখিক পরীক্ষা ছিল না। ১৩তম থেকে ১৭তম পরীক্ষায় মৌখিক নম্বর যুক্ত হলেও তা মেধাতালিকায় প্রভাব ফেলেনি। অথচ এবার তা সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া হয়েছে। একই বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন বোর্ডে ফলাফলের চরম বৈষম্যও দেখা গেছে—কোথাও প্রায় সবাই পাস করেছেন, আবার কোথাও প্রায় সবাই ফেল করেছেন।

কোনো কোনো বোর্ডে শুধু নাম-ঠিকানা জিজ্ঞেস করেই প্রার্থীকে পাস করানো হয়েছে, আবার অন্য বোর্ডে সঠিক উত্তর দেওয়ার পরও ন্যূনতম নম্বর না দিয়ে ফেল করানো হয়েছে। এতে মৌখিক পরীক্ষা মেধা যাচাইয়ের পরিবর্তে ভাগ্যের খেলায় পরিণত হয়েছে বলে তারা মন্তব্য করেন।