অভিনয়ের কথা বলে রিসোর্টে অভিনেত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ১৪

 রিসোর্টে প্রশাসনের অভিযান
রিসোর্টে প্রশাসনের অভিযান © সংগৃহীত ছবি

গাজীপুরের শ্রীপুরে নাটকে অভিনয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণী অভিনেত্রীকে রিসোর্টে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের ‘রাস রিসোর্ট’ নামক একটি পর্যটনকেন্দ্রে।

অভিযোগ পাওয়ার পর শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রিসোর্টটিতে অভিযান পরিচালনা করে প্রশাসন। অভিযানে ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন শ্রীপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইদুল ইসলাম। তিনি জানান, রিসোর্টটির বৈধ কোনো কাগজপত্র না থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং রিসোর্টটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ঘটনার পর ভুক্তভোগী অভিনেত্রীর অভিযোগের বিষয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে ধর্ষণের ঘটনার  প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায় সেখানে। পরে রিসোর্টের কর্মীদের আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর  এ ঘটনায় যারা জড়িত মনে হবে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানান  শ্রীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল রাকিব। তিনি বলেন, ওই অভিনেত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে ফরেনসিক বিভাগ। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

ভুক্তভোগী ওই অভিনেত্রী বলেন, নাটকে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের কথা বলে আমাকে রিসোর্টে নেওয়া হয়। তারপর সেখানে আরও দুজন উপস্থিত হয়। তারা আমাকে জোর করে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে আমি থানায় মামলা করেছি। কিন্তু এখনো পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তারর করতে পারেনি।

এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে রাস রিসোর্টে পরিচালকের সঙ্গে শুটিংয়ের কাজে আসেন ওই অভিনেত্রী। কথা ছিল নাটকে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করার। তবে ওই রাতে রিসোর্টে আগে থেকেই উপস্থিত থাকা আরও দুজনকে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয় ওই অভিনেত্রীকে। দফায় দফায় নির্যাতনের শিকার হয়ে চলে যেতে চাইলে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে রিসোর্টের মালিক পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি ভুক্তভোগীর সঙ্গে থাকা মোবাইল রেখে দেন। পরে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেন ওই অভিনেত্রী।