সরকারি স্কুলের পাঠ্যবই বিক্রি, শিক্ষার্থীদের সহায়তায় হাতেনাতে ধরা

সরকারি স্কুলের পাঠ্যবই বিক্রি
সরকারি স্কুলের পাঠ্যবই বিক্রি © টিডিসি ফটো

পটুয়াখালীর বাউফলে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপুল পরিমাণ সরকারি পাঠ্যবই গোপনে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের সহায়তায় শিক্ষার্থীরা হাতেনাতে ওই বই উদ্ধার করে পুনরায় বিদ্যালয়ে জমা দেয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার ধুলিয়া ইউনিয়নের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুমা আক্তার প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির নতুন ও পুরাতন পাঠ্যবই স্থানীয় ভাঙারি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হানিফ হাওলাদারের কাছে বিক্রি করেন। হানিফ দাসপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও এলাকায় পুরাতন মালামালের ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।

বিকেলে ওই ভাঙারি ব্যবসায়ী একটি ভ্যানে করে বইগুলো নিয়ে যাওয়ার সময় কিছু শিক্ষার্থী বিষয়টি স্থানীয়দের জানায়। পরে স্থানীয়রা ভ্যান আটকিয়ে হানিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি শুরুতে বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং বলেন, সেগুলো পুরাতন খাতা। কিন্তু পরে স্বীকার করেন যে, তিনি প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ৫ হাজার ৮৫০ টাকায় এসব বই ও খাতা কিনেছেন। পরে স্থানীয়দের চাপের মুখে বইগুলো ফেরত দিয়ে বিদ্যালয়ে জমা রাখতে বাধ্য হন।

অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মাসুমা আক্তার বলেন, ‌‘পুরাতন খাতা বিক্রির সময় ভুলবশত কিছু বই চলে গেছে।’

এ বিষয়ে বাউফল উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. মেহেরুন্নেছা বলেন, ‘মাত্র এক সপ্তাহ হলো যোগদান করেছি, তাই অনেক কিছু এখনো জানা হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’