শিশু-নারীকে নিয়ে সচেতনতামূলক সরকারি সভায় পর্নোগ্রাফি মামলার আসামি
- ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:৩৮
সাতক্ষীরায় শিশু, কিশোর কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার সভায় উপস্থিত ছিলেন পর্নোগ্রাফি ও চাঁদাবাজি মামলার এক আসামি। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই আসামির নাম এস কে কামরুল হাসান ওরফে চটা কামরুল। গত ৫ জুলাই সাতক্ষীরা সদর থানায় নথিভুক্ত পর্নোগ্রাফি ও চাঁদাবাজি মামলার ৩ নম্বর তিনি।
জানা গেছে, শিশু, কিশোর কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার সভা আয়োজন করেন জেলা তথ্য কর্মকর্তা জাহারুল ইসলাম। সেখানে এজাহারনামীয় ওই আসামিকে ডাকেন তথ্য কর্মকর্তা। প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম। মোবাইল কনফারেন্সে বক্তব্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফায়জুল হক।
ঘটনার বিষয়ে জেলা তথ্য কর্মকর্তা জাহারুল ইসলাম বলেন, ‘এস কে কামরুল হাসান নামীয় ব্যক্তি বিতর্কিত, চাঁদাবাজি পর্নোফি মামলার এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন আমার জানা ছিল না। জানা থাকলে অবশ্যই তাকে রাখা হতো না। এটা ভুল হয়েছে।’
গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর জেলা তথ্য কর্মকর্তার গাফিলতির বিষয়টি প্রতীয়মান হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘সদর থানার একটি চাঁদাবাজি পর্নোগ্রাফি মামলার ৩ নম্বর আসামি কামরুল হাসান। আদালত থেকে জামিন নিয়েছে এমন কোনো কাগজপত্র আমি পাইনি।’ তাহলে আসামি প্রকাশ্যে কীভাবে ঘুরছে? এ সময় প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান তিনি।
মতবিনিময় সভা শেষে ঘটনাটি জানানো হয় পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলামকে। তিনি বলেন, ‘মামলার আসামি এখানে রয়েছে, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি এ বিষয়ে সাতক্ষীরা থানার ওসির সঙ্গে কথা বলব।’