বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি নয়, ভিন্ন পরিকল্পনায় এগোচ্ছে এনটিআরসিএ
- ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৯
ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ না পাওয়া প্রার্থীরা বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগের দাবি জানালেও ভিন্ন চিন্তা করছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের চিন্তাভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির পরিবর্তে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।
এনটিআরসিএর একটি সূত্র দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশপ্রাপ্তদের যোগদান শেষ হবে। এরপর কত শিক্ষক যোগদান করেননি, সে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। শূন্য থাকা পদগুলোতে ভুল চাহিদায় সুপারিশপ্রাপ্তদের প্রতিস্থাপন করা হবে। পরবর্তীতে যদি পদ শূন্য থাকে তাহলে সুপারিশ না পাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে যারা মেধাতালিকায় এগিয়ে থাকবে তাদের নিয়োগ সুপারিশ করা হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করব, নাকি শূন্য পদ থাকা সাপেক্ষে মেধার ভিত্তিতে প্রার্থীদের সুপারিশ করব তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যে পদগুলো শূন্য হবে, সেগুলোতে আগে ভুল চাহিদায় সুপারিশপ্রাপ্তদের প্রতিস্থাপন করা হবে। এরপর পদ শূন্য থাকলে যারা মেধাতালিকায় এগিয়ে থাকবে তাদের নিয়োগ সুপারিশ করা হতে পারে।’
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর ১৮তম বিজ্ঞপ্তি করে এনটিআরসিএ। এতে আবেদন করেন ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জন আবেদন করেন। আবেদনকারীর মধ্যে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন ৬০ হাজার ৫২১ জন। গত ১৯ আগস্ট প্রকাশিত ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির ফলাফলে লক্ষাধিক পদের বিপরীতে মাত্র ৪১ হাজার ৬২৭ জন প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশ করা হয়। ফলে ১৮তম পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েও ১৬ হাজার ২১৩ জন প্রার্থী বাদ পড়ে যান।
আরও পড়ুন: মেডিকেল শিক্ষকের অর্ধেকের বেশি পদ শূন্য, শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন
সুপারিশবঞ্চিত প্রার্থীদের অভিযোগ, মেধা ও যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চূড়ান্ত নিয়োগ না পাওয়ায় তারা হতাশা, মানসিক চাপ ও পারিবারিক-সামাজিক চাপের মুখোমুখি হচ্ছেন। যেহেতু নতুন পদ্ধতিতে ১৯তম পরীক্ষা ও নিয়োগ প্রদান হবে, তাই তারা অনুরোধ জানিয়েছেন যে, ১৮তম সকল নিয়োগ বঞ্চিত প্রার্থীদের সুপারিশ নিশ্চিত করার পর ১৯তম সার্কুলার জারি করা হোক।
নিবন্ধন প্রার্থীরা বলেন, ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক সংকট নিরসনে ১৫ হাজার ১৬৩ জন প্রার্থীর জন্য বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। এ অবস্থায় বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৮তম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৬ হাজার ২১৩ জন প্রার্থীর নিয়োগ প্রদানের দাবি জানিয়েছেন তারা।