জাতীয় আন্তঃমেডিকেল কলেজ সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত

প্রতিযোগীর হাতে সনদ তুলে দিচ্ছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
প্রতিযোগীর হাতে সনদ তুলে দিচ্ছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক © সংগৃহীত

‘তারুণ্যের সৃজনশীলতা, সংস্কৃতির মহোৎসব’ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় আন্তঃমেডিকেল কলেজ সাংস্কৃতিক উৎসব। গতকাল রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজে দুই দিনব্যাপী উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের আয়োজনে জাতীয় এ উৎসবে সারাদেশের ৪৫টি সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২৬৪ জন প্রতিযোগী অংশ নেন।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রতিযোগিতামূলক এ আয়োজনে প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিজয়ীদের নির্বাচন করা হয়৷ এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে নয়টি ভেন্যুতে আঞ্চলিক পর্বে প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত মেডিকেল কলেজগুলোর প্রায় এক হাজার প্রতিযোগীর মধ্য থেকে ২৬৪ জনকে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতার জন্য মনোনীত হন।

50
বিতর্ক প্রতিযোগিতা (বামে) ও সমাপনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতরা (ডানে)

 

পরে শনি ও রবিবার হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজে চূড়ান্ত অনুষ্ঠানে শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে অংশ নেন প্রতিযোগীরা। প্রতিযোগিতায় রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত, দেশাত্মবোধক গান, লোকসংগীত, আধুনিক গান, হামদ ও নাত, উপস্থিত বক্তৃতা এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার তুলে দেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন। এ সময় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. আজিজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ও সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. রোকসানা আহমেদসহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

47
প্রতিযোগী মেডিকেল শিক্ষার্থীরা

 

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল হোসেন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মানসিক উৎকর্ষ, সৃজনশীলতা এবং সৌহার্দ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাণবন্ত এই আয়োজন করা হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি মানসিক উৎকর্ষের বিষয়টিতেও দৃষ্টি দিচ্ছি। শিক্ষার্থীরা যেন কোনো ধরনের রাষ্ট্রবিরুদ্ধ কর্মকাণ্ড কিংবা মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে না পড়ে, এ জন্য সাংস্কৃতিক কর্মসূচি জরুরি। চিকিৎসা শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকবে।