চুক্তি ভঙ্গ ও জামানতের টাকা আটকে রাখায় বেরোবি উপাচার্যকে আইনি নোটিশ
- ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৮
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার চুক্তি ভঙ্গ ও জামানতের টাকা আটকে রাখার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে (ট্রেজারারের দায়িত্বে) অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলীর বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সাবেক ইজারাদার মুরাদ মাহমুদ। তিনি ‘সেইফ অ্যান্ড সেভ রেস্টুরেন্ট’র সত্ত্বাধিকারী। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মুরাদ মাহমুদ।
নোটিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই পাঁচ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার চুক্তি হয় মুরাদ মাহমুদের সঙ্গে। তবে ব্যবসায়িক লোকসানের কারণে তিনি চুক্তির ৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী ১৪ মে ২০২৪ তারিখে তিন মাস আগে পূর্ব নোটিশ দিয়ে চুক্তি বাতিলের আবেদন করেন। একইসঙ্গে চুক্তির ১ নম্বর ধারায় বার্ষিক নবায়নের শর্ত থাকলেও তা আর নবায়ন করেননি। ফলে ১ আগস্ট ২০২৪ থেকে চুক্তি কার্যকরভাবে বাতিল হয়ে যায়।
তবে চুক্তি বাতিলের পরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইজারাদারকে আনুষ্ঠানিকভাবে অব্যাহতি না দিয়ে দীর্ঘ এক বছর ধরে তার মালামাল আটকে রাখে এবং ফেরতযোগ্য জামানতের ১ লাখ ৫০ হাজার টাকাও প্রদান করেনি। পরে ৯ আগস্ট ২০২৫ তারিখে মালামাল ফিরিয়ে দেওয়া হলেও এখনও টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ মুরাদ মাহমুদের।
এ অবস্থায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা দাবি করে এবং জামানতের অর্থ ফেরতের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানান মুরাদ মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘চুক্তির সব নিয়ম মেনেই আমি চুক্তি বাতিলের আবেদন করেছিলাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো নিয়ম মানেনি। আমার মালামাল আটকে রেখেছে, জামানতের টাকা দেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘নোটিশ এসেছে কিনা আমার জানা নেই। তবে উনার (মুরাদ মাহমুদ) সঙ্গে সরাসরি আমাদের কথা হয়েছে। উনার কয়েক মাসের ভাড়া বাকি ছিল, যা জামানতের টাকা থেকে কেটে রাখা হয়েছে। বাকি টাকা মওকুফ করে দেওয়া হয়েছে।’