ঢাবি সাংবাদিক সমিতির ৪০ বছর পূর্তি উদযাপন
- ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:১৯
‘তথ্যে তারুণ্যে নিত্য সত্যে’ স্লোগানকে ধারণ করে ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) পথচলার ৪০ বছর পূর্ণ হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ার শিক্ষক লাউঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডুজার প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য খায়রুজ্জামান কামাল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা বলেন, একটা প্রতিষ্ঠানের ৪০ বছর ধরে বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে তথ্য দেওয়া সহজ কাজ না। জাতির ক্রান্তিকালে তারা সেটি করেছে।
অনেক তথ্য আমরা জানতাম না সেগুলো আমাদের জানতে সাহায্য করেছে এই ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা। আমরা যেন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি সে ব্যাপারে সাহায্য করেছে। আমার নতুন প্রশাসন সব সময় সাংবাদিক সমিতির কাছ থেকে সাহায্য পেয়ে আসছি।
ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, বাংলাদেশের পথ দেখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পথ দেখায় এই সাংবাদিক সমিতি।
প্রথম বর্ষ থেকেই সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। ফ্যাসিবাদী আমলে যখনই শিক্ষার্থীরা নির্যাতনের শিকার হতো রাত দুইটা বা তিনটা হোক তারা তখনই এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিত।
জুলাই অভ্যুত্থানের সময়ে তারা সাহসী ভূমিকা পালন করেছে। যখন ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট হয়েছিল তখন নয় দফা দাবি এই ক্যাম্পাস সাংবাদিকরাই মিডিয়া হাউজগুলোতে পৌঁছে দিয়েছে। ডাকসুতেও তারা রাতদিন এক করে কাজ করেছে।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে যেমন বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে তারা কাজ করেছে এখনো সেভাবেই কাজ করে যাবে বলে আশা করি। শিক্ষার্থীদের দেওয়া প্রতিটা কমিটমেন্ট আমরা বাস্তবায়ন করব। সেক্ষেত্রে সাংবাদিক সমিতি আমাদের ভুল ধরিয়ে দিয়ে সাহায্য করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য খায়রুজ্জামান কামাল বলেন, বাংলাদেশে যত গণতান্ত্রিক আন্দোলন হয়েছে সবগুলোতেই অবদান রেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে এসব আন্দোলনে অবদান রেখেছে এই সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা।
আমরা যখন ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা করতাম তখন ক্যাম্পাসে সাংবাদিক ছিল হাতে গোনা কয়েকজন এবং পত্রিকাও ছিল হাতে গোনা কয়েকটা।
তিনি বলেন, আমরা ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় তখন নেগেটিভকে পজিটিভ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে সাংবাদিকতা করতাম। প্রশাসনকে সাহায্য করতাম, বিভিন্ন পরামর্শ দিতাম। ক্ষতির জন্য সাংবাদিকতা করতাম না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির বর্তমান সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি বলেন, সাংবাদিক সমিতি প্রতিষ্ঠাতাকালীন যে বৈশিষ্ট্য ছিল তা ধরে রাখবে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে তারা সব সময় কথা বলে যাবে। এই সাংবাদিক সমিতির প্রতি মানুষের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক পরিবর্তনের সঙ্গে সাংবাদিক সমিতির নাম জড়িত রয়েছে। সেই ধারা অব্যাহত থাকবে।
আলোচনা সভায় কেক কাটার পর ডাকসুর সামনে থেকে কলা ভবনের রাস্তায় এক বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।