শাকসবজির হাব হচ্ছে ঢাকায়, ২০ টাকায় মিলবে সবজি
- ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৫৪
রাজধানী ঢাকার পূর্বাচল ৩০০ ফুট সড়কের পাশে শাকসবজি বিক্রির একটি হাব চালু হতে যাচ্ছে। এই হাবে কৃষকেরা সরাসরি নিজেদের সবজি বিক্রি করবেন। ফলে ২০ টাকা বা তারও কমে সেখান থেকে সবজি কেনা সম্ভব হবে। সেখান থেকে পণ্য কিনে বাজারে চলে যাবেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশেরের (ক্যাব) কার্যক্রম অবহিতকরণ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ক্যাবের নতুন সভাপতি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘আগামী ১ অক্টোবর ৩০০ ফুট সড়কের পাশে একটি হাব চালু হতে যাচ্ছে। কারওয়ান বাজারের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে চাই আমরা। সেখানে কৃষকেরা সরাসরি তাঁদের সবজি বিক্রি করবেন। তাঁদের কাছে থেকে পণ্য কিনে নিয়ে সরাসরি বাজারে চলে যাবেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। ২০ টাকা বা তারও কমে আপনি সেখান থেকে সবজি কিনতে পারবেন।’
ক্যাবের এই নতুন সভাপতি বলেন, দেশে খাদ্যপণ্যের উৎপাদন মূল্য যৌক্তিক নয়। শাকসবজির উৎপাদন খরচ পাশের দেশের চেয়ে বেশি। বিপণনব্যবস্থাও ত্রুটিযুক্ত। ফরিয়া থেকে আড়তদার, আড়তদার থেকে পাইকারি, পাইকারি থেকে খুচরা—এভাবেই পণ্যের দাম বাড়ে।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘কারওয়ান বাজারের উত্তর গেট দিয়ে ৩০ টাকার পটোল প্রবেশ করে সেটি অন্য গেট দিয়ে পাইকারি বা খুচরা বাজারে যখন আসে, তখন দাম বেড়ে হয় ৭০ টাকা। আমি যে সবজি ১০০ টাকায় কিনছি, সেটির ৮০ টাকা যদি কৃষক পেতেন, তাহলেও আমার-আপনার কষ্ট হতো না। কিন্তু কৃষক তো পাচ্ছেন ৩০ টাকা। মাঝখানে আমি ভোক্তা সেই জিনিস ১০০ টাকায় কিনছি। ওই ৭০ টাকা তো পথে পথে চলে যাচ্ছে।’ উৎপাদন খরচ হ্রাস ও বিপণনব্যবস্থা আধুনিক না করতে পারার কারণে এমন সমস্যা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানান, খাদ্যপণ্য ছাড়াও স্বাস্থ্য, পর্যটন, টেলিকমসহ বিভিন্ন খাতের ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করবে ক্যাব। তার কথায়, ‘ট্রাফিক বিভাগ থাকার পরও ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আবার সিটি করপোরেশনকে আমরা কর দিচ্ছি। তারপরও মশার উৎপাত কমছে না। এই যে ডেঙ্গু হচ্ছে, তার জন্য সিটি করপোরেশন দায়ী। জনমত তৈরি করে আমরা দেখিয়ে দেব, এ অনিয়মগুলো দূর করা সরকারের দায়িত্ব। আমরা সরকারের মুখপাত্র হব না, সহযোগী হিসেবে কাজ করব।’
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক, হুমায়ূন কবির ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ মঞ্জুর-ই-খোদা তরফদার, প্রচার সম্পাদক মুসা মিয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহা. শওকত আলী খান।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ আগস্ট শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে থেকে অবসরে যান ক্যাবের সভাপতি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। এর আগে তিনি আড়াই বছর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর ৯ সেপ্টেম্বর তিনি ক্যাবের সভাপতি হন।