প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে শিক্ষক ও কম্পিউটার অপারেটর সাময়িক বরখাস্ত

শিক্ষক ও কম্পিউটার অপারেটর
শিক্ষক ও কম্পিউটার অপারেটর © সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিট্কা আনন্দ মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে এক খণ্ডকালীন শিক্ষক ও একজন কম্পিউটার অপারেটরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় তাদের বরখাস্ত করা হয় বলে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক মেহেদী হাসান এবং খণ্ডকালীন কম্পিউটার অপারেটর জহিরুল ইসলাম। জানা গেছে, এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির একটি এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষাটি বাতিল করে নতুন প্রশ্নপত্র তৈরি করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হয়। একইসঙ্গে যেই মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশ্ন ছাপানো হতো, তাকেও ভবিষ্যতের জন্য বাতিল করা হয়েছে। এর আগে এসএসসি পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা অবস্থায় শিক্ষক মেহেদী হাসানের কক্ষে নকল পাওয়ায় তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল বলে জানায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

অভিযুক্ত শিক্ষক মেহেদী হাসান বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এবং তার কাছে নিজের নির্দোষ প্রমাণের যথেষ্ট উপাত্ত রয়েছে। কম্পিউটার অপারেটর জহিরুল ইসলাম বলেন, তিনি ২০১৬ সাল থেকে বিদ্যালয়ে কর্মরত এবং এতদিনে এমন কোনো ঘটনার সঙ্গে কখনও জড়িত ছিলেন না। এ ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা নেই বলেও দাবি করেন তিনি।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজা সাইফুল ইসলাম জানান, প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠায় দুইজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিদ্যালয়ের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিগার সুলতানা চৌধুরী বলেন, প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি জানার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে এবং ফাঁস হওয়া প্রশ্ন বাতিল করে নতুন প্রশ্নে পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।