জাবিপ্রবি

দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর ছাত্রদলের এক নেতার পদ স্থগিত

জাবিপ্রবি লোগো ও ছাত্রদল লোগো
জাবিপ্রবি লোগো ও ছাত্রদল লোগো © টিডিসি সম্পাদিত

জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবিপ্রবি) আবাসিক হলে সিট দখলকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় শাখা ছাত্রদলের এক নেতার পদ ৩ মাসের স্থগিত করেছে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ। ওই নেতার নাম জোবাইদ হোসাইন। তিনি শাখা ছাত্রদলের সদস্য পদে ছিলেন।

ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রদলের সদস্য জোবাইদ হোসেনের সাংগঠনিক পদ ৩ মাসের জন্য স্থগিত করা হলো। 

প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ কে এম আবদুল্লাহ আল মাসুদ এবং তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী ও যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল আহমেদ দুজন মিলে সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইকরাম হোসেনের রুম (হল-২০৩ নম্বর) এ প্রবেশ করেন। সেখানে একটি সিট দখলকে কেন্দ্র করে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন তারা।

অভিযোগে ইকরাম হোসেন উল্লেখ করেন, উক্ত সিটে আগে সমাজকর্ম বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী সোহান ও রাশেদ অবস্থান করতেন। বর্তমানে হলে নতুন করে কোনো সিট বরাদ্দের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তিনি সেখানে নতুন কাউকে উঠতে দিতে রাজি হননি। কিন্তু অভিযুক্তরা জোর করে সিএসই বিভাগের চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল সদস্য মো. জোবাইদ হোসাইনকে ওই সিটে তোলার চেষ্টা করেন। এ সময় ইকরাম নিজের কিছু ব্যক্তিগত জিনিস সরাতে গেলে তাদের বাধা দেন। ধমকাধমকি ও বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে উত্তেজনা তৈরি হয়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, তখন ছাত্রদল সদস্য জোবাইদ হোসাইন সিটের ওপর রাখা একটি ছুরি তুলে নিয়ে ইকরাম হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণের চেষ্টা করেন। তবে উপস্থিত অন্যরা জোবাইদকে আটকে দেন এবং পরে তাকে রুমের বাইরে নিয়ে যান। ঘটনার পরদিন ১৪ সেপ্টেম্বর ইকরাম হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাস্তির দাবি জানান।