কায়রো জাদুঘর থেকে গায়েব ফেরাউনের সোনার ব্রেসলেট

মিসরের জাতীয় জাদুঘর
মিসরের জাতীয় জাদুঘর © সংগৃহীত

মিসরের কায়রোতে অবস্থিত জাতীয় জাদুঘর থেকে নিখোঁজ হয়ে গেছে ফেরাউন আমেনেমোপের একটি প্রাচীন স্বর্ণের ব্রেসলেট। প্রায় তিন হাজার বছর পুরোনো এ ঐতিহাসিক গয়নাটি ল্যাপিস লাজুলি পাথরের অলংকরণে সুসজ্জিত ছিল এবং সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল জাদুঘরের পুনর্নবীকরণ ল্যাবরেটরিতে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিবিসি ও সিএনএন।

সিএনএনের বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাচীন প্রত্নবস্তু চোরাচালান মিসরের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছর আলেকজান্দ্রিয়ার উপকূলবর্তী আবু কির উপসাগর থেকে শতাধিক প্রত্নসম্পদ চুরি করে পাচারের সময় গ্রেপ্তার হয় দুই চোরাকারবারি।

নিখোঁজ ব্রেসলেটের বিষয়ে মিসরের পর্যটন ও পুরাকীর্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নাগরিক অভিযোগ দপ্তরের কাছে পাঠানো হয়েছে। দেশের সব বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে ব্রেসলেটটির ছবি সরবরাহ করা হয়েছে, যাতে এটি পাচার হয়ে দেশের বাইরে চলে না যায়।

তবে জাদুঘরের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়ানো ব্রেসলেটের ছবিটি ভুল— সেটি প্রদর্শনীর অন্য একটি গয়না। নিখোঁজ হওয়া ব্রেসলেটটির সঠিক চেহারা আলাদা।

আরও পড়ুন: এনটিআরসিএর নিয়োগ বিধিতে ফের পরিবর্তন আসছে, নতুন কী যুক্ত হচ্ছে?

ঐতিহাসিক তথ্যমতে, ব্রেসলেটটি খ্রিষ্টপূর্ব ১০৭৬ থেকে ৭২৩ সালের মধ্যে শাসনকারী মিসরের ২১তম রাজবংশের ফেরাউন আমেনেমোপের ছিল। প্রথমে তাকে সাধারণ কক্ষে দাফন করা হলেও পরবর্তীতে শাসক প্রথম পসুসেনেসের পাশে পুনরায় দাফন করা হয়। তার সমাধি আবিষ্কৃত হয় ১৯৪০ সালে।

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেনসিক প্রত্নতত্ত্ববিদ ড. ক্রিস্টোস সিরোজিয়ানিস আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ব্রেসলেটটি আন্তর্জাতিক অবৈধ প্রত্নবস্তু বাজারে বিক্রির ঝুঁকিতে রয়েছে। তার ভাষায়, ‘এ ধরনের মূল্যবান জিনিস চোরেরা হয় পাচার করে, না হয় গলিয়ে বিক্রি করে দেয়। আবার কখনও ব্যক্তিগত সংগ্রাহকের কাছে লুকিয়ে রাখা হয়— কিংবা এটি কয়েক দিনের মধ্যে জাদুঘরের আশেপাশেই পড়ে থাকতে দেখা যেতে পারে।’