আ.লীগ সমর্থকদের বাসা ভাড়া দিলে বাড়ির মালিককে আটক করা হবে: পুলিশের মাইকিং
- ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৩২
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে ভাড়াটিয়া যাচাই নিয়ে পুলিশি মাইকিংকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার মইজ্জ্যারটেক এলাকায় কর্ণফুলী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক মাইকিং করা হয়। পরে মাইকিংয়ের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে নানা মত উঠে আসে।
প্রচারিত ভিডিওতে বলা হয়, নতুন ভাড়াটিয়া—বিশেষ করে ব্যাচেলর যুবকদের বাসা ভাড়া দেওয়ার আগে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থানায় জমা দিতে হবে। এমনকি কোনো ভাড়াটিয়া যদি নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাসা ভাড়া দেন, তাহলে সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিককেও আটক করা হবে।
তবে এ বক্তব্যকে ‘ভুলভাবে প্রচারিত’ বলে দাবি করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ। তিনি বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ভাড়াটিয়াদের তথ্য থানায় জমা দেওয়ার বিষয়টি আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা। মালিকদের জানাতে চাই, এনআইডি ও ভাড়াটিয়ার বিস্তারিত তথ্য জমা ছাড়া বাসা ভাড়া দেওয়া যাবে না। এটা নতুন কিছু নয়, বরং আগের নিয়মকে আরও জোরদার করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “অনেক সময় মালিকরা অজান্তেই জঙ্গি বা সন্ত্রাসী চক্রের কাছে বাসা ভাড়া দেন। পরবর্তীতে এসব ভাড়াটিয়া অপরাধ করে পালিয়ে যায়, তখন মালিকেরাও বিপদে পড়েন। সেজন্যই এই উদ্যোগ। ভাড়াটিয়ার তথ্য থানায় জমা থাকলে প্রয়োজনে দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হবে।”
ওসি উদাহরণ টেনে বলেন, সম্প্রতি ডায়মন্ড সিমেন্ট এলাকায় এক ব্যক্তি স্ত্রীকে হত্যার পর পালিয়ে যান। ভাড়াটিয়ার বিস্তারিত তথ্য না থাকায় তখন পুলিশকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এদিকে বিকেল থেকে পুরো কর্ণফুলী উপজেলায় একাধিক স্থানে পুলিশ মাইকিং করে ভাড়াটিয়াদের পরিচয়পত্র থানায় জমা দেওয়ার আহ্বান জানায়। তবে ওসির ভাষ্য অনুযায়ী, বাড়ির মালিককে ‘সহযোগী হিসেবে আটক করা হবে’—এমন নির্দেশ পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়নি।