ডাকসুর প্রথম সভায় কী সিদ্ধান্ত হলো, জানালেন জিএস ফরহাদ

ডাকসুর সভা শেষে কথা বলছেন সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ
ডাকসুর সভা শেষে কথা বলছেন সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিয়েছেন। আজ রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) তাদের প্রথম সভা শেষে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এসএম ফরহাদ বলেন, ‘আমরা সবার প্রতিনিধি হয়ে কাজ করতে চাই। শিক্ষার্থীদের কথাগুলো বলতে চাই। সে জায়গাগুলোতে আমরা একমত হয়েছি। কি কি কাজ হতে পারে, টোটাল পরিকল্পনা সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে করে বাস্তবায়নে নেমে পড়তে চাই।’‌

সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে এ সভা শেষে ফরহাদ আরও বলেন, ‘নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে সিনেটে পাঁচ প্রতিনিধি পাঠানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। ২০১৯ সালে ডাকসু ছিল, এরপর নিয়মিত হয়নি। ডাকসুর ট্রেজারা কে হবেন, সে ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটাও প্রকাশ করব। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে কি কি বিষয় মাথায় রাখব, তেমন মূলনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

সভার শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং ডাকসুর সভাপতি আমাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উল্লেখ করে জিএস বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকেও তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। সর্বশেষ ডাকসুর ভিপি, কোষাধ্যক্ষ ও সভাপতি বক্তব্য দিয়েছেন। এই ছিল প্রথম কার্যনির্বাহী সভার সামগ্রিক বিবরণ।’

ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রথম এ সভার মধ্য দিয়ে নতুন কমিটির কার্যক্রম শুরু হলো। গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে শীর্ষ তিন পদসহ ২৮টির ২৩টি পদেই বিজয়ী হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের প্রার্থীরা। এ প্যানেলের বাইরে বাকি পাঁচটি পদের মধ্যে চারটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও একটিতে বামপন্থী প্যানেল প্রতিরোধ পর্ষদের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।

আরও পড়ুন: আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকসুর দায়িত্ব নিলেন সাদিক কায়েম-ফরহাদরা

এতে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি (ভিপি) মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এসএম ফরহাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) মহিউদ্দিন খানসহ নির্বাচিত অন্যরা। সভা শেষে সাদিক কায়েম বলেন, ‘এর মাধ্যমে আমাদের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হলো। আমাদেরকে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করবেন। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করব। এ নির্বাচনে কেউ হারেনি। আমরা সবাই মিলেই কাজ করব।’ 

এর আগে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথের ব্যাপারটি আইনে ওইভাবে বলা নেই, তবে রেওয়াজ আছে। এ রেওয়াজগুলো দেখে উপাচার্য এবং ডাকসুর প্রতিনিধরা তখন সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে রেওয়াজটা কী, তা আরেকটু খতিয়ে দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।’

উল্লেখ্য, সবশেষ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালের ১১ মার্চ। আর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দায়িত্ব নিয়েছিলেন ২৩ মার্চ। এবারের নির্বাচনের পর ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ মনোনীত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।