ডাকসু নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিল ঢাবি
- ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:১২
গত ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে শিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের অধিকাংশ প্রার্থীই বিজয়ী হয়েছেন। তবে যারা বিজয়ী হতে পারেননি তারাসহ কেউ কেউ এ নির্বাচনের স্বচ্ছতা, বিশেষ করে ভোট গণনা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবার এসব প্রশ্নের জবাব দিয়েছে এবং কোন পদ্ধতিতে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ও গণনা হয়েছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ডাকসু নির্বাচনের চীফ রিটার্নি কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের বরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী ভোট গণনার প্রস্তুতি, প্রক্রিয়া ও স্বচ্ছতা
ডাকসু এবং হল সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটাররা ডাকসু (ডাকসু) নির্বাচনে পাঁচটি পৃথক ব্যালট পেপার এবং প্রতিটি হলে একটি করে ব্যালট ব্যবহার করেছেন। ভোটারদের নির্বাচিত প্রার্থীর নম্বরসংবলিত বাক্সে ক্রস (x) চিহ্ন দিয়ে ভোট প্রদান করতে হয়েছে।
ব্যালট স্ক্যানিং প্রক্রিয়ার জন্য একটি ভেন্ডর নিযুক্ত করা হয়েছিল। এই প্রকৃয়ার ভেন্ডর মোট ১৪টি ওএমআর (অপটিকাল মার্ক রিকগনিশন) মেশিন সরবরাহ করে। ভোট গণনায় দুই ধরণের ওএমআর মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে কিছু প্রতি ঘন্টায় ৪,০০০ ব্যালট এবং কিছু প্রতি ঘণ্টায় ৬,০০০ ব্যালট প্রক্রিয়াকরণে সক্ষম। ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার পর নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্রে এসব মেশিন ব্যবহার করে ব্যালট স্ক্যান ও ইলেকট্রনিক রেকর্ড তৈরি করা হয়। কিছু কেন্দ্রে উচ্চক্ষমতার মেশিন ব্যবহার করা হয় এবং অন্যত্র সমান্তরালভাবে দুটি মেশিন ব্যবহার করে স্ক্যানিং সম্পন্ন করা হয়।
ভোট গণনা প্রক্রিয়া
ভোট গণনা প্রক্রিয়াটি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয়। সেগুলো হল- ব্যালট পেপার ওএমআর মেশিনের মাধ্যমে স্ক্যান করে ইলেকট্রনিক রেকর্ড তৈরি; তৈরি হওয়া ইলেকট্রনিক রেকর্ডের ভিত্তিতে প্রতিটি প্রার্থীর ভোট গণনা এবং প্রক্রিয়ার অডিটিং এবং রিপোর্ট তৈরি ইত্যাদি। এই প্রক্রিয়ার তদারকি করেন আটজন ফ্যাকাল্টি সদস্য (সিএসই বিভাগের চারজন এবং আইআইটির চারজন)। তাদের সহায়তায় ছিলেন আইসিটি সেল ও ভর্তি অফিসের আটজন প্রোগ্রামার। এই সম্মিলিত "এক্সপার্ট টিম' পুরো প্রক্রিয়ার নির্ভুলতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করেন।
ভোটের দিন পূর্বে প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা (৭-৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫)
স্বাধীন প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট: এক্সপার্ট টিমের প্রোগ্রামাররা পিএইচপি এবং মাইএসকিউএল ব্যবহার করে ভোট গণনার প্রোগ্রাম তৈরি করেন। ফ্যাকাল্টি সদস্যরা স্বাধীনভাবে পাইথনে দ্বিতীয় প্রোগ্রাম তৈরি করেন। ভেন্ডর সংস্থা ভিজুয়াল ফক্স প্রোতে তৃতীয় একটি প্রোগ্রাম সরবরাহ করে।
র্যান্ডম কেস দিয়ে পরীক্ষা: ফ্যাকাল্টি সদস্যরা পাঁচটি ডাকসু ব্যালট ও ১৮টি হল নির্বাচনের ব্যালটের জন্য র্যান্ডম টেস্ট কেস তৈরি করেন, যা স্ক্যানিং (ধাপ এ) ও গণনা (ধাপ বি) উভয় প্রক্রিয়ার যাচাই নিশ্চিত করে। তিনটি স্বাধীন প্রোগ্রাম এই টেস্ট কেস দিয়ে ক্রস-পরীক্ষা করা হয় এবং অভিন্ন আউটপুট পাওয়া যায়। এতে নিশ্চিত হয় যে বৈধ ইলেকট্রনিক রেকর্ড তৈরি হলে ভোট গণনা তিনটি পৃথক সিস্টেমের মাধ্যমে যাচাইযোগ্য।
ড্রাই রান: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ দুপুরে এক্সপার্ট টিমের ফ্যাকাল্টি সদস্যরা নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ওএমআর স্ক্যানিং প্রক্রিয়ার ড্রাই রান সম্পন্ন করেন।
ওএমআর মেশিন যাচাই (১ সেপ্টেম্বর ২০২৫): ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার আগে সব ১৮টি ওএমআর মেশিন সিনেট ভবনে আনা হয়। প্রতিটি মেশিনকে ২৩ ধরনের ব্যালট (৫টি ডাকসু ও ১৮টি হল নির্বাচন) দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এতে নিশ্চিত হয় যে ভোট গণনা শুরু হওয়ার আগে মেশিনগুলো সঠিকভাবে ইলেকট্রনিক রেকর্ড তৈরি করতে সক্ষম।
ভোট কেন্দ্রে ভোট গণনা কার্যক্রম (৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫): আটটি এক্সপার্ট টিম (প্রত্যেকটিতে একজন ফ্যাকাল্টি সদস্য ও একজন প্রোগ্রামার) আটটি ভিন্ন ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে ভেন্ডর প্রতিনিধি এবং ৩-৪ জন মেশিন অপারেটর স্ক্যানিং ও গণনা প্রক্রিয়ায় অংশ নেন। এ প্রক্রিয়ায়- বিকেল ৪:০০-৫:০০টার মধ্যে সব টিম, ভেন্ডর কর্মী ও সরঞ্জাম কেন্দ্রে সেটআপ সম্পন্ন করে; ভোট শেষে ব্যালট বাক্স সীল করা হয় এবং গণনা শুরুতে কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে খোলা হয়; বিএনসিসি ও স্কাউট স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় ব্যালটগুলো শ্রেণীবদ্ধ করা হয়; ওএমআর মেশিন দিয়ে স্ক্যান করে ইলেকট্রনিক রেকর্ড তৈরি হয়। নির্ভুলতা নিশ্চিত করতে প্রতিটি স্ট্যাকের প্রথম ব্যালট হাতে গোনা ফলাফলের সাথে মিলিয়ে দেখা হয়; পোলিং এজেন্ট, কর্মকর্তাদের ও পর্যবেক্ষকদের নির্বাচিত র্যান্ডম ব্যালটও যাচাই করা হয়।
এছাড়া, স্ক্যানিং শেষে তিনটি পৃথক সফটওয়্যার (ফ্যাকাল্টি, প্রোগ্রামার, ভেন্ডর) দিয়ে ফলাফল গণনা করা হয়। আউটপুট ক্রস-ভেরিফাই করেন ফ্যাকাল্টি তত্ত্বাবধায়করা। প্রতিটি হলভিত্তিক সারসংক্ষেপ ফলাফল মুদ্রণ করে কেন্দ্রপ্রধানকে প্রদান করা হয়। ফ্যাকাল্টি টিম কমিশনকে ডাকসুর সামগ্রিক ফলাফল একত্রিত করতে, পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ প্রস্তুত করতে এবং গণমাধ্যমের জিজ্ঞাসার উত্তর দিতে সহায়তা করে। স্বাধীন প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট, কঠোর প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা, বাস্তবসময় পর্যবেক্ষণ এবং বহুমাত্রিক ক্রস-ভেরিফিকেশন নিশ্চিত করেছে যে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা প্রক্রিয়াটি ছিল স্বচ্ছ, নির্ভুল এবং ত্রুটিমুক্ত।
ভোট গ্রহণ ও ভোট গণনার সকল প্রক্রিযার ভিডিও ধারণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ এবং ভোট গণনার প্রতিটি ধাপ ধারাবাহিকভাবে ভিডিওতে ধারণ করা হয়েছে। এ উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। ভিডিও ধারণের আওতায় অন্তর্ভুক্ত ছিল- ভোটকেন্দ্র খোলার পূর্ব প্রস্তুতি, যেমন ব্যালট বাক্স সিলকরার পূর্বে খালি বাক্স উপস্থিত সাংবাদিকদের দেখানো, ব্যালট বাক্স সিলকরণ এবং নির্বাচন সামগ্রী প্রস্তুত; ভোট প্রদান প্রক্রিয়া, যেখানে ভোটারদের উপস্থিতি, পরিচয় যাচাই, ব্যালট বিতরণ ও ভোট প্রদানের ধাপগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল; ভোটগ্রহণ শেষে ব্যালট বাক্স পুনরায় সিল ও নিরাপদে সংরক্ষণ; ভোট গণনার সময় ব্যালট বাক্স খোলা, এজেন্ট ও পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ; ব্যালট শ্রেণীবিন্যাস, ওএমআর মেশিনে স্ক্যানিং এবং ইলেকট্রনিক রেকর্ড তৈরি; ভোট গণনার সফটওয়্যারের মাধ্যমে ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ, আউটপুট যাচাই এবং চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ; সমগ্র প্রক্রিয়াটি সিসিটিভি ক্যামেরা ও নির্ধারিত ভিডিওগ্রাফি দলের মাধ্যমে ধারণ ও সংরক্ষণ করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। উল্লেখ্য যে, ভবিষ্যতে প্রয়োজন মাফিক উন্মুক্ত করার জন্য সমস্ত ভিডিও সংরক্ষণ করা হয়েছে।
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের ডিজিটাইজেশন
ডাকসু এবং হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনার পর সব ফলাফল ডিজিটালি রূপান্তরিত ও সংরক্ষন করা হয়েছে। OMR মেশিনের মাধ্যমে প্রতিটি ব্যালট স্ক্যান করে ইলেকট্রনিক রেকর্ড তৈরি করা হয়েছে। পরে তিনটি স্বাধীনভাবে তৈরি ভোট গণনা সফটওয়্যারের মাধ্যমে (ফ্যাকাল্টি, প্রোগ্রামার, ভেন্ডর) ফলাফল গণনা এবং ক্রস-ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করা হয়েছে।
ফলাফলের ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়ায় নিম্নলিখিত ধাপগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল- প্রতিটি ব্যালট স্ক্যান করে ইলেকট্রনিক রেকর্ড তৈরি; প্রাপ্ত রেকর্ডের ভিত্তিতে প্রার্থীদের ভোট গণনা; তিনটি সফটওয়্যারের আউটপুট ক্রস-ভেরিফাই করা; হলভিত্তিক এবং ডাকসু সামগ্রিক ফলাফল ডিজিটালি সংরক্ষণ ও একত্রিতকরণ; পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ, মিডিয়া প্রতিবেদন এবং আনুষ্ঠানিক ঘোষণার জন্য প্রস্তুত করা; এই ডিজিটাইজেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে যে নির্বাচন ফলাফল স্বচ্ছ, নির্ভুল এবং সহজে যাচাইযোগ্য।
নির্বাচনের মূল তথ্য এবং নথি সংরক্ষণ
ডাকসু নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও যাচাইযোগ্যতা নিশ্চিত করতে, সকল গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট এবং রেকর্ড ডিজিটালি আর্কাইভ করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত- সমস্ত মূল ওএমআর স্ক্যান রেকর্ড, যা ভোট গ্রহণের সময় তৈরি হয়েছে।
ভোট গণনার জন্য ব্যবহৃত তিনটি স্বাধীন সফটওয়্যার
ফ্যাকাল্টির মাধ্যমে পাইথন তৈরি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের প্রোগ্রামারদের তৈরি পিএইচপি/মাইএসকিউএল প্রোগ্রাম। ভেন্ডর কর্তৃক সরবরাহিত ভিজুয়াল ফক্সপ্রো প্রোগ্রাম। নির্বাচন কমিশন সম্পর্কিত আনুষ্ঠানিক নথি ও নির্দেশিকা। ভোটকেন্দ্র প্রস্তুতি, ব্যালট শ্রেণীবিন্যাস, ওএমআর স্ক্যানিং ও ফলাফল যাচাই সংক্রান্ত সকল নথি ও রিপোর্ট।
ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত ব্যালট
ভোটগ্রহণে প্রদত্ত সকল ব্যালট সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা হয়েছে। এগুলি নির্বাচনী ফলাফলের যাচাই এবং প্রয়োজনে ভবিষ্যৎ রেফারেন্সের জন্য সংরক্ষিত। নির্বাচনী ব্যবস্থার অতিরিক্ত ব্যালট এবং অব্যবহৃত ব্যালটও সীলকৃত অবস্থায় আলাদাভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে, যাতে কোন ধরনের বিভ্রান্তি বা অনিয়ম না ঘটে। সব ব্যালট নিরাপদ ও সংরক্ষিতভাবে রাখা হয়েছে, এবং শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবহৃত বা যাচাইয়ের জন্য উন্মুক্ত করা যেতে পারে। এই সমস্ত আর্কাইভ করা নথি এবং ডিজিটাল রেকর্ড সংরক্ষিত হয়েছে এমনভাবে যাতে ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে যাচাই, পুনঃপর্যালোচনা বা প্রমাণসাপেক্ষ ব্যবহার করা যায়।
ভোটারের উপস্থিতির স্বাক্ষর সংরক্ষণ
ডাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় প্রতিটি ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ এবং ভোট প্রদান প্রমাণ হিসেবে ভোটারের স্বাক্ষর আর্কাইভ করা হয়েছে।
প্রক্রিয়ার বিবরণ
ভোট কেন্দ্রে উপস্থিতির সময় ভোটারের স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয় এবং তা ভোটার উপস্থিতি রেজিস্টার-এ সংরক্ষণ করা হয়। ভোট প্রদান প্রক্রিয়ায় ব্যালট গ্রহণের প্রমাণ হিসেবে ভোটারের স্বাক্ষর এবং সংশ্লিষ্ট ব্যালট নম্বর লগ করা হয়। সকল স্বাক্ষর ডিজিটালি স্ক্যান করে সংরক্ষণ করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে যাচাই করা যায়। এই ব্যবস্থায় ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়।
গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা
ভোটারের স্বাক্ষর ও উপস্থিতি সংক্রান্ত সকল রেকর্ড গোপন রাখা হয়েছে এবং শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিরাপদভাবে সংরক্ষিত হয়েছে। ভোটারের ব্যক্তিগত তথ্য বা স্বাক্ষর শুধুমাত্র আদালতের বৈধ অনুরোধের ভিত্তিতে যাচাই বা উন্মুক্ত করা যাবে। সকল স্বাক্ষর ডিজিটালি স্ক্যান এবং সংরক্ষণ করা হয়েছে, যাতে প্রয়োজনে যাচাইযোগ্য প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যায়, তবে ভোটারদের গোপনীয়তা সর্বোচ্চভাবে রক্ষা করা হয়।