জবি সংলগ্ন এলাকায়

বাসস্ট্যান্ড ও অবৈধ দোকান অপসারণের দাবিতে শিক্ষক সমিতির অবস্থান কর্মসূচি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় © সংগৃহীত ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও বাহাদুর শাহ পার্ক–সংলগ্ন এলাকা থেকে বাসস্ট্যান্ড, লেগুনা ও অবৈধ দোকানপাট অপসারণের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাহাদুর শাহ পার্ক–সংলগ্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, দপ্তরের পরিচালক, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ পার্শ্ববর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রইছ উদ্দীন তিন দফা ঘোষণা দেন। সেগুলো হলো,

১. রায়সাহেব বাজার থেকে আর কোনো বাস বা লেগুনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করবে না। পরীক্ষামূলকভাবে চালু থাকা লেগুনা ও বাসস্ট্যান্ড অপসারণ এখন থেকে স্থায়ীভাবে কার্যকর করতে হবে।

২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও বাহাদুর শাহ পার্ক–সংলগ্ন এলাকা থেকে শুরু করে কবি নজরুল সরকারি কলেজ হয়ে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ পর্যন্ত সব অবৈধ দোকানপাট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের তত্ত্বাবধানে এবং পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় অপসারণ করা হবে

৩।বাহাদুর শাহ সড়কের এই চত্বরকে ‘বিশ্বজিৎ চত্বর’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্বজিৎ হলো ফ্যাসিবাদবিরোধী এক ঐতিহাসিক মাইলফলকের নাম। এই চত্বরকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের আন্দোলন ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে।

সমাবেশে অতিথিরা বলেন, শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু বিকাশের জন্য একটি সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ আবশ্যক। বাহাদুর শাহ পার্ক পুরান ঢাকার প্রাণ। আশপাশে ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের অবকাশযাপনের জায়গা এটি। এখানে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখা না গেলে শিক্ষার্থীরা বিকশিত হতে পারবে না। তাই পারস্পরিক সহযোগিতা বজায় রেখে রায়সাহেব বাজার থেকে এ এলাকায় কোনো বাস বা লেগুনা প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না, এ বিষয়ে সবাই একমত।

হিড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ভাইস প্রেসিডেন্ট কর্নোলিয়াজ ডি ক্রুজ বলেন, ‘এই বাসস্ট্যান্ড ও অবৈধ দোকানপাট আমাদের শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু বিকাশের জন্য বাধাস্বরূপ। শিক্ষা ও নিরাপদ পরিবেশ আমাদের অধিকার। শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশের জন্য মনোরম পরিবেশ আবশ্যক। বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকা থেকে অবৈধ বাসস্ট্যান্ড ও দোকানপাট উঠে যাবে, এটাই আমাদের দাবি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দীন বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, বাসস্ট্যান্ডগুলোর কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অনিরাপদ পারিপার্শ্বিক অবস্থা কারও কাম্য হতে পারে না। আমি দাবি উত্থাপন করতে চাই, এক সপ্তাহ কোনো বিষয় নয়, পরিপূর্ণ ব্যবস্থা নিতে আমরা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করব।’