সেতু আছে, রাস্তা নেই—সুন্দরগঞ্জে বিপাকে হাজারো মানুষ
- ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:৫১
সেতু আছে, কিন্তু রাস্তা নেই—এমন অদ্ভুত বাস্তবতায় পড়েছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের তারাপুর ইউনিয়নের মানুষ। ঘগোয়া খালের ওপর নির্মিত সেতুটি ছয় মাস আগে কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় তা ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ে আছে। ফলে কয়েকটি গ্রামবাসীর নিত্যযাতায়াত, শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া এবং জরুরি সেবা পুরোপুরি ব্যাহত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নেই। বাধ্য হয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বার ও এলাকাবাসী মিলে বাঁশের সাঁকো বসিয়ে সেতুর সঙ্গে অস্থায়ী সংযোগ দিয়েছেন। সেই সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কৃষক ও সাধারণ মানুষ। অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার বই-খাতা পানিতে ফেলে ভোগান্তির শিকার হয়েছে। যানবাহন তো দূরের কথা, রোগী পরিবহনের মতো জরুরি সেবাও এখন অচল হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েকটি স্কুল, মাদ্রাসা ও বাজারে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ছিল এই সেতু। কিন্তু সেতু নির্মাণ শেষে সংযোগ সড়ক না দেওয়ায় তা এখন ‘প্রতীকী ব্রিজে’ পরিণত হয়েছে।
ব্রিজ পাড়ের বাসিন্দা সুজন অভিযোগ করে বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ব্রিজের কাজ করা হয়েছে। আসলেই সিডিউল অনুযায়ী মাপ হয়েছে কি না, সন্দেহ আছে।
ইউপি সদস্য মজনু মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সংযোগ সড়ক না থাকায় মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঠিকাদারকে বারবার অনুরোধ করা হলেও কোনো কাজ হয়নি।
ঠিকাদার নুর মওলা মোবাইল ফোনে দাবি করেছেন, শিগগিরই সংযোগ সড়কের কাজ শুরু হবে। তবে প্রকল্পের বরাদ্দ সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, সেতুর কাজ শেষ হয়েছে পাঁচ-ছয় মাস আগে। কিন্তু ঠিকাদার চলে যাওয়ার পর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে মানুষ পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে একাধিক দিন চেষ্টা করেও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী বা কর্মকর্তাদের পাওয়া যায়নি। ফোনেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ কুমার বিশ্বাস এ বিষয়ে বলেন, ‘এখন বিষয়টি জানতে পারলাম। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’