ডাকসুতে যারা প্রার্থী ছিলেন তারা সবাই আমাদের উপদেষ্টা: সাদিক কায়েম
- ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫৭
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম বলেছেন, ডাকসু নির্বাচনে যারা প্রার্থী ছিলেন তারা সবাই আমাদের উপদেষ্টা। আমরা সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করব।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে রায়ের বাজারে জুলাই শহীদদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সাদিক কায়েম বলেন, ‘আমাদের ডাকসু নির্বাচনের বিজয়, জুলাইয়ের প্রজন্মের বিজয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর বিজয়। শহীদদের আকাঙ্খার বিজয়। ডাকসু নির্বাচনে কোনো হার-জিত নেই। আমরা সবাই সহযোদ্ধা ছিলাম। জুলাইয়ে আমরা সবাই যেভাবে একসাথে কাজ করেছি, ডাকসুতেও একসঙ্গে কাজ করব। আমাদের সহযোদ্ধাদের ইশতেহার নিয়ে সবাই একসাথে কাজ করব। আমরা সবার সাথে কথা বলেছি, আমরা সবাই মিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ডাকসুর জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করা আমাদের কাজ। শিক্ষার্থীদের কাছে সমস্যাগুলো শুনে যথাযথ জায়গায় পৌঁছে দেওয়া আমাদের কাজ। শিক্ষার্থীদের কাজ হচ্ছে আমাদের উপদেষ্টা হয়ে যখন যে পথে যেখানে আমাদের থামিয়ে দেওয়া দরকার সেখানে থামিয়ে দেবে, পরামর্শ দেবে, প্রশ্ন করবে। ’
হিন্দু শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে থাকা প্রসঙ্গে ফরহাদ বলেন, ‘সিনেট ভবনে সারারাত স্লোগান, গান, আনন্দ হয়েছে, আমাদের তিনজন হিজাবী ছিল, সবাইকে নিয়ে স্লোগান হয়নি। স্লোগানটা মূলত ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে ডেলিভারি হয়েছে। সাবিকুন্নাহার তামান্নার ক্ষেত্রে হিজাব নিয়ে স্লোগান দেওয়ার কারণ হচ্ছে, চারুকলায় তার ছবিতে শিং একে দিয়ে তার হিজাবকে বিকৃত করা হয়েছিল। এটা হিজাবোফোবিয়া সিম্বলিক রিফ্লেকশন আর কি। সেখান থেকেই একটা ভয়েজ রেইজ করা হয়েছিল যে ক্যাম্পাসে হিজাবোফোবিয়া চলে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ হিজাব পড়লে পেছন থেকে এসে আপনি তার ছবি বিকৃত করবেন অথবা তাকে ডিপার্টমেন্টে হেনস্থা করবেন , এই বিষয়গুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে না চলা উচিত। সেই ভয়েসটা শিক্ষার্থীরা রেইজ করেছেন। এটা বিদেশি মিডিয়া, স্পেসিফিকলি একটি দেশের মিডিয়া সব কিছু জানার পরও কেন তারা প্রেজেন্ট করেছেন এটা তাদের এজেন্ডার ব্যাপার। তবে আমাদের দেশের মিডিয়া সবকিছু দেখেছে। আশা করছি দেশীয় মিডিয়ার ভাইয়েরা সত্যটা উপস্থাপন করেছেন।’