তিতুমীর কলেজ

ডাকসু নিয়ে মেসেঞ্জারে তর্কবিতর্ক, সিআরকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে

টিডিসি সম্পাদিত
টিডিসি সম্পাদিত © টিডিসি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর তিতুমীর কলেজের ইংরেজি বিভাগের মেসেঞ্জার গ্রুপে তর্কবিতর্কে থামতে বলায় সিআরকে (ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ) গালাগাল ও মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাদিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। 

আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে কলেজের বাঁশেরকেল্লা ক্যান্টিনের সামনে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে ইংরেজি বিভাগের (২০২৩-২৪) শিক্ষাবর্ষের সিআর আবদুল্লাহ আল মুজাহিদ মারধরের শিকার হন।

জানা গেছে, গতকাল (৯ সেপ্টেম্বর) ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের মেসেঞ্জার গ্রুপে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে শিবির-সমর্থিত ও ছাত্রদল-সমর্থিত পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে কথা-কাটাকাটির সময় ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য সাদিকুল ইসলাম অশালীন ভাষা ব্যবহার করেন। 

এ সময় সিআর আবদুল্লাহ আল মুজাহিদ তাকে গালি মুছে শালীনতা বজায় রাখার আহ্বান জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাদিকুল ইসলাম আরও গালাগাল করে বলেন, ‘কম কথা বল। গ্রুপে যখন রাজনৈতিক আলোচনা হচ্ছিল, তখন তুই কোথায় ছিলি?’

মারধরের শিকার আবদুল্লাহ আল মুজাহিদ বলেন, ‘গ্রুপে ছাত্রদলের সদস্য গালিগালাজ শুরু করলে আমি সিআর হিসেবে থামতে বলি। তখন আমাকেও গালিগালাজ করে এবং মারার হুমকি দেয়। পরে আজ সকালে আমি কলেজ ক্যান্টিনে গেলে আমাকে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে সাদিকুল।’

আরও পড়ুন: রাকসুর প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, ভিপিসহ ৭ জনের প্রার্থিতা বাতিল

প্রত্যক্ষদর্শী একই বিভাগের শিক্ষার্থী তাসনীম লাবণ্য বলেন, ‘আজ সকালে মুজাহিদসহ আমরা ক্যান্টিনে গেলে সাদিকুল তার বন্ধু সৈকতকে দিয়ে মুজাহিদকে ক্যাম্পাসের সেকেন্ড গেটের বাইরে নিয়ে যায়। সেখানে তারা কয়েকজন মিলে মুজাহিদকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। মারামারির সময় সেখানে থাকা গাড়ির আয়নাও ভেঙে যায়।’

অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদল নেতা সাদিকুল বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও মব সৃষ্টির জন্য করা হয়েছে। আজ সকালে মুজাহিদের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে, তবে আমাদের মধ্যে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।’

এ বিষয় জানতে চাইলে তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব সেলিম রেজা বলেন, ‘আমি এখনো এ বিষয়ে অবগত নই। আমি খোঁজ নেব। যদি সাদিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’