ডাকসুতে শুভেচ্ছা জানানোর মতো প্রার্থী নির্বাচিত হয়নি: ইমি

শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি
শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি © টিডিসি সম্পাদিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) শুভেচ্ছা জানানোর মতো কোনো প্রার্থী নির্বাচিত হননি বলে মন্তব্য করেছেন বামজোটের প্রার্থী শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। একই সঙ্গে নির্বাচিত ছাত্র সংসদ নেতাদের ‘প্রতিনিধি’ হিসেবে মেনে নিতে পারবেন না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বুধবার রাত আড়াইটার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ব্যক্তিগত আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব মন্তব্য করেছেন।

শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি লিখেছেন, ‘ডাকসুতে শুভেচ্ছা জানানোর মতো প্রার্থী নির্বাচিত (!) হয়নি। আমি তাদেরকে আমার প্রতিনিধি হিসেবে মেনে নিতে পারব না।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি জুলাইয়ের শহীদ সোহেল রানা ভাইয়ের মাকে কথা দিসিলাম উনার ছেলের লাশের সন্ধান এনে দিব ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে। চব্বিশের জুলাইয়ে যারা ঘর ছেড়েছিল তাদের সবাই এখনো ঘরে ফেরে নাই। তাদের সন্ধান চাইব রাষ্ট্রের কাছে। কেউ সাথে থাকতে চাইলে প্লিজ জানাবেন। অনেক কাজ বাকি..।’

প্রসঙ্গত, ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির প্যানেল বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে। এখনও আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা বাকি থাকলেও ১৮টি হলের প্রাপ্ত ফলাফলে, শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম ১৪ হাজার ৮১০ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল নেতা আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫৯৯৯ ভোট। জিএস পদে শিবিরের এস এম ফরহাদ পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৮৮ ভোট, যেখানে ছাত্রদলের প্রার্থী তানভীর বারী হামিম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৫৪ ভোট। এ ছাড়া এজিএস পদে শিবিরের মহিউদ্দিন খান পেয়েছেন ৯ হাজার ৫০১ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ ৪ হাজার ২৫৪টি ভোট পেয়েছেন।

অপরদিকে ডাকসু নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা শিবির ও ছাত্রদলের প্যানেলে হওয়ায় ভোটের ব্যবধানে অনেক পিছিয়ে পড়েছেন অন্যান্য প্যানেলের প্রার্থীরা। শেখ তাসনিম আফরোজ ইমির নেতৃত্বাধীন প্রতিরোধ পর্ষদের প্রার্থীদের মধ্যে ভালো ভোট পেয়েছেন ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মেঘমল্লার বসু। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণের পর গণনা শুরু হলে কারচুপির অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন ইমি।