ভিপির চেয়ারে কি সাদিক কায়েমই বসছেন? 

সাদিক কায়েম
সাদিক কায়েম © সংগৃহীত

সাদিক কায়েমই কি হচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (ডাকসু)  নতুন সহ-সভাপতি? এমন আলোচনা এখন ঢাবিসহ গোটা দেশে। ইতোমধ্যেই কয়েকটি হলে কয়েকগুণ ব্যাবধানে এগিয়ে রয়েছেন ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের এই প্রার্থী। এর মধ্যে সুফিয়া কামাল হলের ফলাফলে সাদিক ১২৭০ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উমামা ফাতেমা। তিনি পেয়েছেন উমামা ৫৪৭। এছাড়াও আবিদ ৪২৩ ও কাদের ৫৫ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও অমর একুশে হলের ভোটে তিনি পেয়েছেন ৬৪৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল প্রার্থী আবিদুল ইসলাম পেয়েছেন ১৪১ ভোট।

এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ভিপি পদে সাদিক কায়েম  ৮৪১ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। এছাড়া উমামা ফাতেমা ১৫৩ ও আবিদুল ইসলাম ১৮১, আবদুল কাদের ৪৭ ভোট পেয়েছেন। 

জসীমউদ্দিন হলের ফলাফলে ভিপি পদে ভোটে সাদিক ১২০০ এবং আবিদ ৪০০ ভোট পেয়েছেন। অন্যান্য হলের ভোটেও এগিয়ে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক এই সভাপতি। স্বভাবতই প্রশ্ন সর্বত্র, সাদিক কায়েমই কি হচ্ছেন ডাকসুর নতুন সভাপতি?

তথ্যমতে, এবার ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট থেকে প্রার্থীতা করছেন মো. আবু সাদিকের (সাদিক কায়েম)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী তিনি। ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়ক এবং পরবর্তীতে কোটা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন সাদিক। বুয়েটের আবরার ফাহাদ শাহাদত পরবর্তী আন্দোলনে সম্পৃক্ততা, ট্রানজেন্ডার নিয়ে আন্দোলনে সাবির্কভাবে সহায়তা করেছিলেন তিনি। এছাড়া ফিলিস্তিন নিয়ে যতগুলো এক্টিভিজম হয়েছ তাতে সার্বিক সহযোগিতা ও জড়িত ছিলেন তিনি।

তথ্যমতে, ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় ঢাকা শেষ হয় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট। দীর্ঘ ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হয় মিনি পার্লামেন্ট খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ৮টি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এবারের নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ৬২ জন। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নারী প্রার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে ৫ জন, জিএস পদে একজন ও এজিএস পদে ৪ জন প্রার্থী ছিলেন।

এবার মোট ভোটার ছিলেন ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন। নির্বাচনে ৮০ শতাংশের বেশি ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।