‘স্যরি, মাসল পাওয়ার দেখানোর রাজনীতি আর চলবে না’

ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব
ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব © সংগৃহীত ও সম্পাদিত

টেবিল চাপড়িয়ে ক্ষমতা ও ‘মাসল পাওয়ার’ দেখানোর রাজনীতি বাংলাদেশে আর চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন আমেরিকার হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহসের ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে প্রকাশ্যে ধমক দেওয়ার ঘটনায় এই মন্তব্য করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় প্রেস ব্রিফিংকালে উপাচার্যকে ধমকানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেছেন তিনি।

ঢাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি মির্জা গালিব লিখেছেন, ‘সরি টু সে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সামনে টেবিল চাপড়াইয়া ক্ষমতা দেখানোর, মাসল পাওয়ার দেখানোর যে রাজনীতি এইটা বাংলাদেশে আর চলবে না। একটা জয় পরাজয় এক বছরের জন্য মাত্র, কিন্তু ব্যক্তিত্ব আর চরিত্রের ইস্যু বাংলাদেশের আগামী দিনের ভবিষ্যতের প্রশ্ন।’


প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের উপস্থিতিতেই ক্ষুব্ধ ভঙ্গিতে কথা বলছেন গণেশ চন্দ্র রায় সাহস। তিনি নানা বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে উপাচার্যের প্রতি কঠিন ভাষায় সমালোচনা করেন। এসময় উপস্থিত কয়েকজন শিক্ষার্থীও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও ভিডিওটি দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে গণেশ চন্দ্র বলেন, ‘আজ নারী শিক্ষার্থীরা বাইরে থেকে আসল, বাসগুলো কম আসল; আপনি বুঝেন না এটা ডাকসু নির্বাচন?’ এ সময় টেবিল চাপড়ে ভিসিকে ধমক দেন ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি। পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির তাকে নিবৃত করেন। অন্যদিকে গণেশকে উদ্দেশ্য করে উপাচার্য বলেন, ‘আপনি চুপচাপ বসে যান।’

এ ঘটনার সময় বিশ্ববিদ্যালয়টির বিএনপিপন্থী শিক্ষক ও পদার্থবিজ্ঞান সাবেক অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানসহ বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।