টঙ্গীর খেয়াঘাটে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ, যাত্রীদের ক্ষোভ
- ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:২৫
গাজীপুরের টঙ্গীর খেয়াঘাটে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শ্রমিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ এ খেয়াঘাট দিয়ে নদী পারাপার করলেও ইজারাদার ও নৌকার শ্রমিকরা সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত ভাড়া মানছেন না। এ ঘটনায় যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, একসময় এই খেয়াঘাটে ৪০-৫০টি ডিঙ্গি নৌকা চলাচল করত। তখন ভাড়া ছিল তিন থেকে ৫ টাকা। বর্তমানে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এটি বার্ষিক ইজারা দিয়ে যাত্রীপ্রতি ভাড়া নির্ধারণ করেছে দুই টাকা। তবে কয়েক দিন কার্যকর থাকার পর এখন প্রতিটি যাত্রীর কাছ থেকে ১০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
নিয়মিত যাত্রী আরিফ শিকদার বলেন, ‘প্রতিদিন আমাকে চার-পাঁচবার খেয়া পার হতে হয়। দুই মাস আগে শুনেছি ভাড়া দুই টাকা করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি নিচ্ছে। এতে আমরা ভীষণ ভোগান্তিতে পড়েছি।’
এদিকে নৌকার অবস্থা নাজুক হওয়ায় যাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। অনেক সময় খেয়াঘাটে মাত্র একটি নৌকা পাওয়া যায়। তখন ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী উঠানো হয়, যা দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা মোকলেছুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘নৌকার শ্রমিকরা যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এতে অনেক যাত্রী বিব্রত অবস্থায় পড়েন।’
খেয়াঘাটে কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা রাজু ও টিপু সরকার জানান, তারা কেবল চাকরি করেন, ভাড়া নির্ধারণের সিদ্ধান্ত ইজারাদারের। তাদের দাবি, প্রতিটি যাত্রী থেকে আদায় করা ১০ টাকার মধ্যে ৫ টাকা ইজারাদারের কাছে জমা দিতে হয় এবং বাকি ৫ টাকা নৌকা পরিচালনার খরচ হিসেবে রাখা হয়।
তবে এ বিষয়ে ইজারাদার মোমেন মুঠোফোনে বলেন, ‘আমরা ছোট নৌকা থেকে ৫ টাকা করে নেই। আমরা কারও কাছ থেকে ১০ টাকা নেয় না। ১০ টাকা নেওয়া হচ্ছে—এটা সঠিক নয়, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট কথাবার্তা।’
যাত্রী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত ভাড়া বাস্তবায়নে কোনো নজরদারি করছে না। ফলে প্রতিদিন অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।