কেন্দ্রে ঢুকতে প্রার্থীদের অনুমতি থাকলেও কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে?
- ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৪৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ছাত্রদল প্যানেলের প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানের কেন্দ্রে প্রবেশ করা নিয়ে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রশ্ন উঠলেও নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী এটি বৈধ। বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনে দাঁড়ানো প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমোদন ও অধিকার রয়েছে। তবে কেন্দ্রের পোলিং বুথে যাওয়ার এবং কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে প্রচারণা চালানো নিষেধ রয়েছে।
আবিদের ওই কেন্দ্রে প্রবেশ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য সামনে এসেছে। আবিদের ভাষ্য, তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই কেন্দ্রে ঢুকেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তাক গাউসুল হক বলেছেন, তিনি অনুমতি নেননি। অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তাক গাউসুল হক বলেন, ‘আবিদ জগন্নাথ হলের কেন্দ্রে ঢুকেছিল শুনে আমি এসএম হলের কেন্দ্র থেকে সেখানে গিয়ে পাইনি। ফলে অনুমতি নেওয়ার প্রশ্নই উঠে না।’ আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘ভোটটা আমরা উৎসবের মতো উদযাপন করতে চাই, কোনো ধরনের অভিযোগ করতে চাই না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রার্থীদের জন্য কোনো পরিচয়পত্র বা অনুমতিপত্র দেয়নি। সে কারণেই মেয়েদের হলের ভোটকেন্দ্রে আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।’
ভোটকেন্দ্রে প্রবেশাধিকার নিয়ে আচরণবিধির ১২ এর ‘খ’ উপধারায় আছে, ‘নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারি, প্রার্থী, পোলিং এজেন্ট, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক অনুমোদিত ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা তাঁদের নির্ধারিত স্থানে অবস্থান করবেন।’ সে হিসেবে প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশের অধিকার আছে।
ছাত্রশিবিরের প্যানেল ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী এস এম ফরহাদকেও কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রিটার্নিং কর্মকর্তা বাধা দিলে তিনি ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন: পূরণকৃত ব্যালট পেপার দেওয়া সেই পোলিং অফিসারকে অব্যাহতি
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ৬২ জন। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নারী প্রার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে ৫ জন, জিএস পদে একজন ও এজিএস পদে ৪ জন প্রার্থী রয়েছেন। এবার ভোট দেবেন মোট ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন।