‘আইসিটি প্রশিক্ষণে বিদেশে পরিচালকের স্ত্রী-শ্যালিকা’ সংবাদ প্রকাশের পর তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়
- ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৪৬
‘আইসিটি প্রশিক্ষণে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) প্রশিক্ষণ উইংয়ের পরিচালকের স্ত্রী-শ্যালিকা’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি যাচাই (তদন্ত) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিষয়টি যাচাই করে মতামত দিতে বলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব (প্রশিক্ষণ) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি যাচাই করে মতামত দেওয়ার কথা বলা হয়। মাউশির কলেজ ও প্রশাসন শাখাকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘The Daily Campus নামক অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত আইসিটি প্রশিক্ষণে বিদেশ যাচ্ছেন পরিচালকের স্ত্রী-শ্যালিকা, ১৯ জনের দলে আইসিটি শিক্ষক মাত্র ১ শীর্ষক সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আগামী ০৮-১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠেয় 2025 Invitational Training Program -এ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের একজন পরিচালকের স্ত্রী ও শ্যালিকাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। বিষয়টি যাচাইপূর্বক মতামত প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
এদিকে চিঠিতে মাউশির মাধ্যমিক উইংয়ের পরিচালক প্রফেসর ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল এবং প্রশিক্ষণ শাখার সহকারী পরিচালক ড. জাহেদা বেগমের সুপারিশ থাকলেও সেগুলো আমলে না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা কলেজের কর্মকর্তা-শিক্ষকরা। তারা বলছেন, তিন অভিযুক্তের মধ্যে দুইজনের নামে তদন্ত না হলে প্রকৃত বিষয়টি উঠে আসবে না।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে ঢাকা কলেজের এক অধ্যাপক দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘প্রফেসর ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল এবং ড. জাহেদা বেগমের পছন্দের অনেকেই প্রশিক্ষণে যাচ্ছেন। তাদের কারণে যোগ্য অনেক প্রার্থী বাদ পড়েছেন। আইসিটি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে না নেওয়ার মূল কারিগরি তারা। তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া দরকার। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে তিনজনই ধরা পড়ে যাবে।’