যশোর শিক্ষা বোর্ডে নাম সংশোধনের পরও অনলাইনে পুরনো তথ্য, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
- ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩:৪৩
যশোর শিক্ষা বোর্ডে সার্টিফিকেট ও মার্কশিটে নামের ভুল সংশোধন হলেও অনেক সময় অনলাইনে সেই সংশোধন প্রতিফলিত হচ্ছে না। এতে শিক্ষার্থীরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, চাকরিসহ নানা প্রয়োজনে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা সার্টিফিকেট বা মার্কশিটে নিজের, পিতা বা মাতার নামের ভুল থাকলে বোর্ড নির্ধারিত ১ হাজার ৩ টাকা ফি সোনালী সেবার মাধ্যমে জমা দিয়ে অনলাইনে আবেদন করেন। এরপর এক থেকে দুই মাসের মধ্যে বোর্ড থেকে তাদের সভায় ডাকা হয়। সভায় উপস্থিত থাকার পর নাম সংশোধন করা হয় এবং শিক্ষার্থীকে ম্যাসেজ দিয়ে জানানো হয় ভুল সংশোধন সম্পন্ন হয়েছে। পরে ফ্রেশ সার্টিফিকেট বা মার্কশিট তুলতে ৬০৩ টাকা সোনালী সেবার মাধ্যমে জমা দিতে হয়।
কিন্তু সংশোধন সভায় নাম সঠিক করার পরও বোর্ডের সিস্টেমে অনেক সময় তা অনলাইনে আপডেট করা হয় না। এতে শিক্ষার্থীরা চরম বিড়ম্বনায় পড়ছেন।
এমনই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন মাগুরার রাহাত কবির রাতুল। তিনি ২০২১ সালে এসএসসি ও ২০২৩ সালে এইচএসসি পাস করেন। সার্টিফিকেট ও মার্কশিটে পিতা-মাতার নামের ভুল সংশোধন হলেও অনলাইনে সংশোধন না থাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলায় সমস্যায় পড়েন। পরে বোর্ডে গিয়ে বিষয়টি জানালে সিস্টেম এনালিস্ট অনলাইনে আপডেট করেন।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা দেখানো হবে এলইডি স্ক্রিনে
নড়াইলের রতন সরকার জানান, তার নাম ও পিতার নামের আক্ষরিক ভুল সংশোধনের পরও অনলাইনে পুরনো তথ্যই রয়ে গেছে। একই অভিযোগ করেছেন রাবেয়া খাতুন নামের এক শিক্ষার্থীও।
বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট কহিনুর বেগম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ইন্টারনেট সমস্যার কারণে সার্টিফিকেট ও মার্কশিট সংশোধনের পর অনলাইনে আপডেট করা সম্ভব হয়নি। নেটওয়ার্ক ভালো হলে এ সমস্যা থাকবে না।;
এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আব্দুল মতিন বলেন, ‘নামের ভুল সংশোধনের পর এক সপ্তাহের মধ্যে চিঠি জারি ও অনলাইন সংশোধনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারপরও কেন হচ্ছে না তা দুঃখজনক।’