জামায়াতের সেই এমপি প্রার্থীকে পদ থেকে অব্যাহতি

মো. সিরাজুল ইসলাম
মো. সিরাজুল ইসলাম © সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখা হাটহাজারী উপজেলা আমীর মো. সিরাজুল ইসলামকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে সংগঠনটি। তিনি জামায়াতের এমপি প্রার্থী ছিলেন। 

আজ রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমীর মো. আলা উদ্দিন সিকদারের সভাপতিত্বে জরুরি জেলা কর্মপরিষদ বৈঠকে মো. সিরাজুল ইসলামকে হাটহাজারী উপজেলা আমীরের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

আজ রবিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার প্রচার সেক্রেটারী অধ্যাপক ফজলুল করিম এ বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জোবরা গ্রাম নিয়ে দেয়া তার একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। 

বক্তব্যে জামায়াতের ওই নেতা বলেছিলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। আমরা জমিদার, জমিদারের উপর কেউ হস্তক্ষেপ করবে, এটা আমরা মেনে নেব না।’ এ বক্তব্যটি বিভিন্ন অনলাইন, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত হলে তা ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারসহ বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘এটি মোঃ সিরাজুল ইসলামের ব্যক্তিগত মতামত, যা দলের নীতিমালার পরিপন্থী। দল মনে করে, এ বক্তব্য বিনয়বর্জিত এবং এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এজন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।’

জামায়াত আরও জানিয়েছে, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জোবরা গ্রাম একে অপরের প্রতিপক্ষ নয় বরং পরস্পরের পরিপূরক। অতীতে যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল, ভবিষ্যতেও তা বজায় থাকবে, এটাই জামায়াতের প্রত্যাশা।

গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় ও আশেপাশের এলাকায় ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ফলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও জোবরা গ্রামের কিছু বাসিন্দা আহত হয়েছেন এবং সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী আহত সকলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে।

জামায়াতে ইসলামী এ ঘটনায় সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে, যেন কেউ এ ঘটনাকে পুঁজি করে নতুন করে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ আগস্ট মধ্যরাত থেকে পরদিন বিকেল ৩টা পর্যন্ত চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়। এতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।