শিক্ষকদের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়ার তথ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাল মাউশি

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশি
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশি © ফাইল ফটো

বেসরকারি স্কুল-কলেজে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়া দিতে কত টাকা প্রয়োজন সেই তথ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় এ তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে পাঠানো হয়।

রবিবার দুপুরে মাউশির একটি সূত্র দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া শতাংশ হারে দিতে কত টাকা প্রয়োজন, সে বিষয়ে একটি ড্রাফট তৈরি করা হয়েছে। এ ড্রাফটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় অর্থের বিষয়টি পর্যালোচনা করে সেটি অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হবে।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মাউশির এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘শুধুমাত্র স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের ২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়া দিতে প্রায় দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকা লাগবে। এটি এক বছরের হিসেবে। সে হিসেবে প্রতি মাসে ২০০ কোটি টাকার মতো লাগবে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ মন্ত্রণালয় ছাড় করবে কি না সেটি তারাই ভালো বলতে পারবে।’

বিকল্প কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা ৫ শতাংশ, ১০, ১৫ এবং ২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়ার প্রস্তাব তৈরি করেছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোন প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে সেটি তারাই ভালো বলতে পারবে। আমাদের কাজ ছিল হিসেব তৈরি করে মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো। আমরা সেটি করেছি। এখন বাকি কাজ মন্ত্রণালয় করবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাইয়েদ এ. জেড. মোরশেদ আলী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়করণের দাবিতে মহাসমাবেশ করে এমপিওভুক্ত শিক্ষা  জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট। সমাবেশের এক পর্যায়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষক নেতারা। বৈঠকে শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ২০ শতাংশ করার বিষয়ে সম্মত হয় মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে জমা দেন জোটের নেতারা। সেই প্রস্তাবনার পর এবার ব্যয় বিবরণী জানতে অধিদপ্তরগুলোতে চিঠি পাঠায় মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে মাউশি থেকে তথ্য পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এখন কারিগরি ও মাদ্রাসা অধিদপ্তর থেকে তথ্য পাওয়া বাকি।