ঢাকায় ফের ‘নিষিদ্ধ’ আওয়ামী লীগের মিছিল

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজধানীতে ফের বড় আকারের মিছিল করেছেন
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজধানীতে ফের বড় আকারের মিছিল করেছেন © ফেসবুক থেকে নেওয়া

কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজধানীতে ফের বড় আকারের মিছিল করেছেন। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ২টার দিকে সংসদ ভবন এলাকায় এ মিছিল বের হয়। এ সময় পুলিশ একজনকে আটক করার কথা জানিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুযায়ী, মিছিলটি বিজয় সরণি মেট্রোরেল স্টেশনের নিচ থেকে শুরু হয়ে সংসদ ভবনের রাস্তা ধরে খামারবাড়ি গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে অন্তত হাজারখানেক মানুষ অংশ নেন বলে জানা গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহমেদ ফয়সাল গণমাধ্যমকে বলেন, “হাজারখানেক লোক মেট্রোরেলের মোড় থেকে মিছিল শুরু করে খামারবাড়ির দিকে যেতে থাকে। তারা ‘শেখ হাসিনা’, ‘জয়বাংলা’, ‘শেখ হাসিনা আসবে, রাজপথ কাঁপবে’—এমন স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে যায়।”

তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেন বলেন, “দুপুর পৌনে ২টার দিকে আওয়ামী লীগের একদল নেতাকর্মী বিজয় সরণি মেট্রোরেল স্টেশনের পাশ থেকে মিছিল করে খামারবাড়ির দিকে চলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ মাদারীপুরের শিবচরের বাসিন্দা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সিরাজুল ইসলামকে ব্যানারসহ আটক করেছে।”

মাদারীপুরের এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “এখানে শুধু দলীয় নেতাকর্মী নন, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও নেমেছেন। দিন দিন মিছিল বড় হবে। এই অবৈধ সরকারের অধীনে কেউ ভালো নেই। কয়েক দিনের মধ্যেই সারা দেশের মানুষ রাজপথে নামবে।”

এর আগের দিন (৬ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর তেজগাঁও নাবিস্কো এলাকায় ‘ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ’-এর ব্যানারে কয়েক হাজার নেতাকর্মী মিছিল করেন। তার আগে ৩১ আগস্ট ধানমন্ডির ২৭ নম্বর রোড থেকে শংকরের বাংলাদেশ আই হসপিটাল পর্যন্ত মিছিল করতে দেখা যায় তাদের। এর সপ্তাহখানেক আগে গুলিস্তানের বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেইটেও আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতাকর্মী বিক্ষোভে অংশ নেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-গণ আন্দোলনে ক্ষমতা হারিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। তিন দিন পর (৮ আগস্ট) গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এর পর থেকে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, শীর্ষ নেতা ও প্রভাবশালী সংসদ সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকা জোটের কয়েকজন নেতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তবে দলটির মিছিল ও কার্যক্রম পুরোপুরি থামাতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার।