নওগাঁয় নিখোঁজের ৩ দিন পর স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

নিখোঁজের ৩ দিন পর মমতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়
নিখোঁজের ৩ দিন পর মমতার মরদেহ উদ্ধার করা হয় © সংগৃহীত

নওগাঁর নিয়ামতপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর বাড়ির পাশের ডোবা থেকে উদ্ধার হলো পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর মরদেহ। স্কুলে যাওয়ার পথে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে একে হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করছে।

ওই স্কুলছাত্রীর নাম মমতা (১১)। সে উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের তল্লা গ্রামের মিনহাজুল ইসলামের মেয়ে ও স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে স্কুলে যাবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় মমতা। এরপর আর সে বাড়ি ফেরেনি। সব জায়গায় ও আশপাশের পুকুর-ডোবায় কয়েক দফা তল্লাশি চারায় তার পরিবারের লোকজন। সে সময় তাকে পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে আজ বিকেল পাঁচটার দিকে বাড়ি থেকে আনুমানিক ২০০ গজ দূরে রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় পথচারীরা পচা বন্ধ পায়। এরপর পাশের ডোবায় তারা খোঁজ করলে সেখানে মমতার পা দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তারা পুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থল থেকে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মিনহাজুল বলেন, ‘গত বুধবার সে স্কুলে জুতা ফেলে এসেছিল। পরদিন সকালে সেই জুতা নিতে স্কুলে যায়। পরে পাশের ফুফুর বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া শেষে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে বের হয়। তারপর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে আজ তার লাশ পাওয়া গেল।’

নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলটি পরিদর্শন করা হয়েছে। নিহতের লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি হত্যাকাণ্ড হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।