ডাকসু নির্বাচন

অপপ্রচারকারী গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিলে দাবি ছাত্রদলের

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন ঢাবি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন ঢাবি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা © টিডিসি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত আবিদ-হামীম-মায়েদ পরিষদের প্রার্থীদের নিয়ে অনলাইনে হেনস্তা, হয়রানি ও অপতথ্য ছড়ানোর প্রতিবাদে নির্বাচনকালীন অপপ্রচারে লিপ্ত গ্রুপসমূহ নিষিদ্ধকরণ এবং গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে ছাত্রদল।

শনিবার (৬  সেপ্টেম্বর) ডাকসু নির্বাচন কমিশন বরাবর এই অভিযোগপত্র জমা দেন ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য নেতারা।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ‌“ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫-কে কেন্দ্র করে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ-২’, ‘DU Insiders’-সহ কতিপয় ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত আবিদ-হামীম-মায়েদ পরিষদের প্রার্থীদের জড়িয়ে বিভিন্ন অপতথ্য ও কুৎসা রটিয়ে যাচ্ছে, যা নির্বাচনী আচরণবিধির ধারা নং ৫-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এসব ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের পরিচালনাকারীদের মধ্যে অনেকেই এই নির্বাচনে প্রার্থিতা করছেন, যার ফলে এসব গ্রুপে এমন অব্যাহত অপপ্রচার নির্বাচনী আচরণবিধির ধারা নং ১০০-এর লঙ্ঘনও বটে।”

আরও পড়ুন: দুই হাজার প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে পরিবর্তন আসছে

তাই এসব ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ নিষিদ্ধকরণ এবং এসব গ্রুপ পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষার্থীকে প্রশাসনিক ও একাডেমিক শাস্তির আওতায় আনতে এবং বিশেষত নির্বাচনী এসব গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল করে দৃষ্টান্ত সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানায় তারা।

অভিযোগপত্র জমা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, ‘বিগত দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের পর ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে সহনশীল গণতান্ত্রিক যে পরিবেশ বিদ্যমান ছিল। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে বিভিন্ন গ্রুপে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনকে আমরা আগেই জানিয়েছিলাম যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব গ্রুপ রয়েছে, সেখানে মতের ভিন্নদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। আমার মনে করে এই গ্রুপগুলোকে অন্তত নির্বাচনের সময় পর্যন্ত বন্ধ রাখার ব্যবস্থা করা হোক, যেন কেউ এই গ্রুপের মাধ্যমে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াতে না পারে।’