বয়স ত্রিশ না হতেই পিঠ-কোমড়ে ব্যথা: ওষুধ না খেয়েও হতে পারেন সুস্থ

ঘাড়ে-পিঠে ব্যথা
ঘাড়ে-পিঠে ব্যথা © সংগৃহীত

বয়স ত্রিশ কিংবা পয়ত্রিশের কোঠা পার না হতেই অনেকেই পিঠ এবং কোমরের ব্যথায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন। এটি আমাদের অনেকের জন্য একটি পরিচিত সমস্যা। বিশেষ করে যারা দীর্ঘক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে কাজ করেন, তাদের জন্য এটি যেন নিয়মিত সমস্যায় পরিণত হয়েছে। প্রথম দিকে ব্যথা হালকা হলে অনেকে ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে তা সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু ব্যথা যখন বাড়তে শুরু করে, তখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। তবে ওষুধ বা চিকিৎসকের কাছে না গিয়েও সুস্থ থাকা যায়।  পিঠ, কোমর বা ঘাড়ের ব্যথায় নাজেহাল দশা যাদের, তাদের জন্য ব্যথা নিরাময়ের সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো যোগাসন। 

যোগাসন কী: 
যোগাসন আসলে একটি শারীরিক অবস্থান যার ফলে শরীরের নমনীয়তা, শক্তি, ভারসাম্য, ব্যথা নিরাময় ও মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। 

যোগাসন করার জন্য আপনাকে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে:

১. প্রথমে আপনার পা ভাঁজ করে হাঁটুতে বসুন, যেন আঙুলগুলো একে অপরকে স্পর্শ করে এবং আপনার পায়ের পাতা উপরের দিকে থাকে।

২. এরপর ধীরে ধীরে হামাগুড়ি দেওয়ার মতো করুন। হাতগুলো সামনে প্রসারিত করুন, কিন্তু হাতের তালু মাটিতে স্পর্শ করবেন না। শুধুমাত্র বাহু নিচে থাকবে।

৩. দু'টি পা একে অপর থেকে কিছুটা দূরে ছড়িয়ে দিন, যাতে আপনার ঊরু এবং হাঁটু মাটিতে ছুঁয়ে থাকে।

৪. এই অবস্থায় ৩০ সেকেন্ড বা যতটা সম্ভব থাকুন। 

৫. যদি প্রথমবারে ৩০ সেকেন্ড না পারেন, তবে ১০ সেকেন্ড থেকে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে সময় বাড়ান।

উপকারিতা:

১. হঠাৎ পিঠ বা কোমরে টান ধরে ব্যথা অনুভব হলে এটি কমাতে সাহায্য করে। 

২. দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।

৩. গ্যাস, অম্বলসহ হজম সংক্রান্ত সমস্যা কমাতে সহায়ক।

৪. মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বাড়াবে এবং রক্ত সঞ্চালন করতে ভূমিকা রাখে। 

কারা এই আসন করবেন না?

কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে এটি করা উচিত নয়। 

১. অসুস্থ, পায়ে, হাঁটু বা গোড়ালিতে চোট পেলে এটি থেকে বিরত থাকুন। 

২. গর্ভবতী মহিলারা এই যোগাসনটি করবেন না।

পিঠ ও কোমরের ব্যথা কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী এবং সহজ উপায় এটি। যদি নিয়মিতভাবে এটি অভ্যাস করা যায়, তবে এর মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা ও শারীরিক সমস্যা দূর করা সম্ভব।