সিরিজ জয়ে সহজ লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ

তাসকিন আহমেদ ও নাসুম
তাসকিন আহমেদ ও নাসুম © সৌজন্যে প্রাপ্ত

সিরিজে টিকে থাকতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই নেদারল্যান্ডসের। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও ব্যাটিং বিপর্যয় দেখল ডাচরা। টি-টোয়েন্টিতে এর আগে টাইগারদের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডসের সর্বনিম্ন ছিল ১৩১ রান। সেই রেকর্ড আজ ভেঙে গেল। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭ দশমিক ৩ ওভারে ১০৩ রানেই গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন আরিয়ান দত্ত।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সফরকারীদের। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পেয়েই দুর্দান্ত শুরু করেন বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। শুরুতেই দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন। নাসুমের স্পিন ঘূর্ণিঝড়ে ওপেনার ম্যাক্স ও'ডাউড ১০ বলে ৮ রান এবং তেজা নিদামানুরা গোল্ডেন ডাক মেরে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।

নাসুমের জোড়া উইকেট শিকারের পর অধিনায়কের সঙ্গে জুটি বেঁধে ২১ রান তুলে ফেলেছিলেন বিক্রমজিৎ সিং। নাসুমের করা পঞ্চম ওভারে ব্যাট হাতে দারুণ দৃঢ়তা দেখান ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই ব্যাটার, দুটি চারও হাঁকান। সেই ওভারে মোট ১২ আসে। তবে এই জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে তৃতীয় উইকেট এনে দেন তাসকিন আহমেদ।

গতিতে বিভ্রান্ত করে ডাচ ওপেনার বিক্রমজিৎ সিংকে শিকার বানান তাসকিন। বল আকাশে তুলে দেন বিক্রমজিৎ, ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সহজ ক্যাচটি লুফে নেন তানজিম। এরপর ইনিংসের নবম ওভারে বোলিংয়ে এসেই সাফল্য এনে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসকে ফিরিয়ে দেন সাজঘরে। ১১ বল মোকাবেলায় ৯ রান করেন এডওয়ার্ডস।

দুই দফা সহজ রানআউটের সুযোগ হাতছাড়া করলেও তৃতীয় প্রচেষ্টায় সফল হয় বাংলাদেশ। শর্ট মিডউইকেট থেকে সাইফ হাসানের সরাসরি থ্রোতে রানআউট হয়ে ফেরেন ডাচ ব্যাটসম্যান নোয়াহ ক্রস। টেলিভিশন রিপ্লে দেখে তাকে আউট ঘোষণা করেন তৃতীয় আম্পায়ার সাথিরা জাকির। এতে ৬১ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস।

এর ঠিক পরের বলেই ডাচদের আরও একটি ধাক্কা দেন তানজিম হাসান। তার বলে উইকেটকিপার লিটনের গ্লাভসে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন শারিজ আহমেদ। বাংলাদেশকে সপ্তম উইকেট এনে দেন দ্য ফিজ সিকান্দার জুলফিকারকে বোল্ড করেন বাঁ-হাতি এই পেসার। এরপর স্বাগতিকদের অষ্টম উইকেট এনে দেন তাসকিন। কাইল ক্লাইনকে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে জাকেরের ক্যাচ বানিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন অভিজ্ঞ এই পেসার। কিছুক্ষণ পরই পল ফন মিকেরেনকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন নাসুম। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি।

ক্লেইন ও মিকেরেন দ্রুত ফিরলে ১০০ রান ছোঁয়াও কঠিন হয়ে পড়ে ডাচদের। তবে আরিয়ান দত্তের ৩০ রানের সুবাদে তিন অঙ্ক ছুঁতে সক্ষম হয় দলটি। শেখ মেহেদীর বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন আরিয়ান। এতে ১০৩ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। বাংলাদেশের হয়ে নাসুম ৩টি, তাসকিন ও মুস্তাফিজ ২টি করে উইকেট নেন।