নুরের ওপর হামলা: পুলিশের ভূমিকা তদন্তে ডিএমপির কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত

ডিএমপি লোগো
ডিএমপি লোগো © সংগৃহীত

রাজধানীর বিজয়নগরে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করতে যাচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর নির্দেশে রবিবার (৩১ আগস্ট) একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটিতে ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থাকবেন এবং তারা পুলিশের ভূমিকা ও ঘটনাপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদন দেবেন।

ডিএমপির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখবে পুলিশ সেখানে কেন গিয়েছিল, কী উদ্দেশ্যে গিয়েছিল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের দায়িত্ব পালনে কোনো গাফিলতি বা ত্রুটি ছিল কিনা।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে রাজধানীর বিজয়নগরে গণঅধিকার পরিষদ এবং জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদসহ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।

ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, নুর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। তার নাক ফেটে গেছে, মুখ ও বুক রক্তে ভেসে গেছে। স্ট্রেচারে করে দলীয় কর্মীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

লাঠিপেটার ঘটনায় লাল শার্ট পরা এক ব্যক্তির ভূমিকা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান দাবি করেছেন, লাল শার্ট পরা ওই ব্যক্তি একজন পুলিশ সদস্য। আজ (শনিবার) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।

এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘লাল শার্ট পরা ব্যক্তি পুলিশ সদস্য কিনা, তা নিশ্চিত হতে আরও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।’

এদিকে ঘটনার বিষয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানায়, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়েছিল। ওই ঘটনায় সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, লাঠির আঘাতে নুরুল হক নুরের নাক ও চোয়ালের হাড় ভেঙে গেছে।

ঘটনার পর গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত হামলা। এখন তদন্ত কমিটি গঠন হলেও ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকে।