বড় পুঁজি পেল না নেদারল্যান্ডস

বাংলাদেশ দল
বাংলাদেশ দল © সংগৃহীত

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে রীতিমত আগুন ঝরালেন তাসকিন আহমেদ। ম্যাচের শুরু থেকেই ডাচ ব্যাটারদের চাপে রেখেছিলেন। তার সঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমানও বেশ কৃপণ বোলিং উপহার দিয়েছেন। তাদের দ্যুতি ছড়ানো পারফরম্যান্সে দেড়শ রানের আগেই থেমে যায় সফরকারীদের ইনিংস।

শনিবার (৩০ আগস্ট) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৬ রানের সংগ্রহ পেয়েছে নেদারল্যান্ডস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেছেন তেজা।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি সফরকারীদের। বাংলাদেশি বোলারদের দারুণ শুরুর দিনে পাওয়ার প্লে’তে মাত্র ৩৪ রান তুলতে পারে ডাচরা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রথম বলেই তাসকিন আহমেদের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ম্যাক্স ও’ডাউড (১৫ বলে ২৩)।

অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে ফিরেই ফের তাসকিনের উইকেট। অফ স্টাম্পের বাইরে করা তাসকিনের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দেন বিক্রমজিৎ। পারভেজ হোসেন ইমন সেই ক্যাচটি লুফে নিলে দ্বিতীয়বারের মতো সাফল্য আসে তাসকিনের হাতে। ১১ বলে মাত্র ৪ রান করে ফেরেন ডাচ এই ব্যাটার।

এরপর অবশ্য বিপর্যয় কাটানোর বার্তা দিয়েছিল ডাচরা। তবে প্রায় দুই বছর লাল-সবুজ শিবিরে ফেরা সাইফের নৈপুণ্যে ভাগ্য বদলায়নি সফরকারীদের। ২০২৩ সালের পর প্রথমবারের মতো মাঠে নেমেই দুর্দান্ত শুরু করেন সাইফ। নিজের প্রথম ওভারেই তুলে নেন অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসের উইকেট। সুইপ করতে গিয়ে জাকেরের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৭ বলে ১২ রান করে ফেরেন ডাচ অধিনায়ক। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে ৬ ম্যাচ খেললেও এটাই সাইফের প্রথম উইকেট।

অবশ্য প্রথম উইকেটের পর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। একই ওভারের শেষ বলে আবারও সাফল্য পান এই অফ স্পিনার। ওভারের শেষ ডেলিভারিতে ফেরান নিদামানুরুকে। ২৬ বলে সমান ২৬ রান করে ডিপ মিডউইকেটে হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দেন এই ডাচ ব্যাটার।

এরপর সাফল্য এনে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। বাঁ-হাতি এই পেসারের বলে মিডউইকেটে জাকেরের হাতে ধরা পড়েন শারিজ (১৪ বলে ১৫)।

এই উইকেটে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে মোস্তাফিজের শিকার দাঁড়াল ১৪০টিতে। এই সংস্করণে তার চেয়ে বেশি উইকেট শুধু চারজনের—সাকিব আল হাসান (১৪৯), ইশ সোধি (১৫০), রশিদ খান (১৬২) ও টিম সাউদি (১৬৪)।

অবশ্য ১৬তম ওভারে দলীয় সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলে ডাচরা। তবে ওই ওভারেই ষষ্ঠ উইকেট হারায় তারা। তাসকিনের বলে মিড অনে হৃদয়ের ক্যাচ দেন কাইল ক্লাইন (১২ বলে ৯)।

এরপর নিজের চতুর্থ সাফল্যও পেয়ে যান তাসকিন। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে তৃতীয়বারের মতো ৪ উইকেট নিলেন তিনি। 

ইনিংসের ১৮তম ওভারে নোয়াহ ক্রসকে (১৩ বলে ১১) সাইফের হাতে ক্যাচ বানান। এতে ১০৯ রানে সপ্তম উইকেট হারায় ডাচরা। এদিন ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন তাসকিন।