আশা ইউনিভার্সিটিতে সামার-২০২৫ এর নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

আশা ইউনিভার্সিটিতে নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
আশা ইউনিভার্সিটিতে নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত © সংগৃহীত

আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে (ASAUB) আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে সামার-২০২৫ সেমিস্টারের নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (৩০ আগস্ট) বেলা ১১টায় রাজধানীর শ্যামলীতে আশা টাওয়ারের ৯ম তলায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কনফারেন্স রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এস. এম. রেজাউল করিম এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সার্ক অ্যাগ্রিকালচার সেন্টার, ফার্মগেট, ঢাকার পরিচালক ড. মো. হারুনুর রশিদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় অনুষদের ডীন ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. হেলাল-উজ-জামান, ফার্মেসী বিভাগের অ্যাডভাইজর ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. সোহেল রানা, আইন অনুষদের ডীন(ভারপ্রাপ্ত) সাইফুল আলম, ফলিত সমাজবিজ্ঞানের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নিলুফার বেগম এবং বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) মোছা. জিনাত তারা।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস. এম. রেজাউল করিম নবীন শিক্ষার্থীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, উচ্চশিক্ষার দ্বারপ্রান্তে প্রবেশ করা মানেই দায়িত্বশীল জীবনযাত্রার সূচনা। আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের নেতৃত্ব দেবে। সেজন্য সততা, নৈতিকতা, দেশপ্রেম ও জ্ঞানচর্চায় তাদেরকে সমৃদ্ধ হতে হবে। আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা, আধুনিক গবেষণা ও নৈতিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নিরলসভাবে কাজ করছে। এ সময় তিনি সার্ক অ্যাগ্রিকালচার সেন্টারের পরিচালকের কাছে আশা ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরিতে সার্ক বুক কর্নার স্থাপনের আহবান জানান।

প্রধান অতিথি ড. মো. হারুনুর রশিদ তার বক্তব্যে বলেন, দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর টেকসই উন্নয়ন ও আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে তরুণ প্রজন্মকে বিশেষভাবে এগিয়ে আসতে হবে। কৃষি, প্রযুক্তি ও উন্নয়ন গবেষণায় জ্ঞান আহরণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে নিজেদের যোগ্যতা বাড়াতে হবে।

নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগাও, শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে পড়াশোনায় মনোযোগী হও এবং মানবিক মূল্যবোধে আলোকিত হয়ে সমাজ ও দেশের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করো।

এ সময় উপস্থিত শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।  শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষার পাশাপাশি সৃজনশীলতা, গবেষণা, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তারা। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শত শত নবীন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।