সিলেটে হারিয়ে গেলেন নেদারল্যান্ডস কোচ!
- ৩০ আগস্ট ২০২৫, ১৯:০৮
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তখন গোধূলিলগ্ন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই শহরটিতে সবাই আগামী দিনের ম্যাচের প্রস্তুতিতেই ব্যস্ত। খেলোয়াড়রা শেষবেলায় মাঠে ওয়ার্মআপ করছেন, সাংবাদিকরাও সংবাদ সম্মেলনের জন্য অপেক্ষায়। কিন্তু যার জন্য এত আয়োজন, সেই নেদারল্যান্ডসের প্রধান কোচ রায়ান কুককে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না।
সময় তো আপন মহিমায় গড়াচ্ছে, তবুও দেখা নেই ডাচ গুরুর। মিনিট ১০, ১৫—কোথায় তিনি? যে মানুষটির আশেপাশে সবসময় নিরাপত্তা থাকে, নিয়মশৃঙ্খলার বলয়ে টইটুম্বর, তিনিই কিনা নিখোঁজ!
সফরকারীদের মিডিয়া ম্যানেজার কোরে রুটগার্ডও ছুটছেন এদিক-ওদিক। একেকবার ফিরে এসে সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করছেন—‘আর দু-তিন মিনিট।’ কিন্তু সময় তো গড়িয়েই যাচ্ছে, বাড়ছে উদ্বেগ। অথচ কোচের হদিস নেই। যেন এক অদ্ভুত রহস্য!
সাংবাদিকরাও একে অপরের দিকে তাকাচ্ছেন, কেউ কেউ চাপা হাসি দিচ্ছেন—‘একজন কোচও হারায়?’ যদিও রুটগার্ডের চোখেমুখজুড়ে কেবলই উৎকণ্ঠা। কোনো সুরাহা মিলছে না।
প্রায় আধঘণ্টা! সূর্যও প্রায় ডুবন্ত, তখনই সিঁড়ি বেয়ে ধীরে ধীরে নেমে এলেন কুক। মুখে লাজুক হাসি, চোখে ভিন্ন কিছুর বার্তা! সাংবাদিকদের ভিড় ক্রমশ তার দিকে। প্রশ্ন, ‘এতক্ষণ কোথায় ছিলেন? সত্যিই কি হারিয়ে গিয়েছিলেন?’ অবশ্য কুকের বিনয়ী উত্তর, ‘দুঃখিত, ম্যাচ রেফারির রুমে ছিলাম।’
তবে এতেই গল্প শেষ হয় না। কুক কেবল নেদারল্যান্ডস দলেরই কোচ নন, তার সঙ্গে জড়িয়ে লাল-সবুজের অগণিত স্মৃতি। একসময় বাংলাদেশের ফিল্ডিং কোচ ছিলেন তিনি।
আজকের সংবাদ সম্মেলনে এসে যেন হারিয়ে গেলেন আবার—তবে এবার নিখোঁজ হয়ে নয়, বরং পুরোনো স্মৃতির মায়াজালে। লাল-সবুজ ড্রেসিংরুমে কাটানো দিনগুলো তার কণ্ঠে, তার দৃষ্টিতে ছড়িয়ে দিল অন্য রকম আবেগ। তার এই হারিয়ে যাওয়াটা ছিল মধুর, স্মৃতিমাখা।