আমার মুখই চেপে ধরা হয়েছিল, ছবিটি এআই জেনারেটেড নয়: বুয়েট শিক্ষার্থী রাফিদ

বুয়েট শিক্ষার্থী রাফিদ জামান খানকে মুখ চেপে ধরেছিল পুলিশ
বুয়েট শিক্ষার্থী রাফিদ জামান খানকে মুখ চেপে ধরেছিল পুলিশ © সংগৃহীত

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে পুলিশের এক কর্মকর্তার হাতে মুখ চেপে ধরা অবস্থায় এক শিক্ষার্থীর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমেও ছবিটি প্রকাশিত হয়। ছবিতে মুখ চেপে ধরা শিক্ষার্থী হলেন রাফিদ জামান খান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও শেরেবাংলা হলের আবাসিক।

নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে রাফিদ বলেন, “যমুনার দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ প্রথমে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। পেছন থেকে আমাকে মারধর করতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলে বসে পড়ি। ওই সময়ই আমার মুখ চেপে ধরা হয়। ছবিটি এআই জেনারেটেড নয়, আসলেই আমার সঙ্গে ঘটেছে। এক পুলিশ কর্মকর্তা মুখ চেপে ধরেন, আর ৬–৭ জন বুট দিয়ে লাথি মারতে থাকেন। এ ঘটনায় আমার চারটি এক্সরে করা হয়েছে।”

মুখ চেপে ধরা পুলিশ কর্মকর্তাকে শনাক্ত করতে পেরেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ডিসি মাসুদ আমার মুখ চেপে ধরেছিলেন। পুলিশের এমন আচরণ ছিল অপেশাদার। নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।”

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এক বিবৃতিতে দাবি করে, ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি। ডিএমপির সরকারি ওয়েবসাইটে এ নিয়ে ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়।

তবে একাধিক গণমাধ্যমের ফটোসাংবাদিকরা রাফিদের মুখ চেপে ধরার ছবি তুলেছেন এবং তাদের কাছে আসল ছবিটি রয়েছে। তথ্য যাচাইকারী সংস্থা ‘রিউমর স্ক্যানার’ ও ‘ডিসমিসল্যাব’ পৃথক প্রতিবেদনে জানায়— ছবিটি এআই-সৃষ্ট নয়; বরং বাস্তব ঘটনাকেই এআই বলে প্রচার করেছে ডিএমপি।

এ ঘটনা ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে বিতর্ক ও সমালোচনা তৈরি হয়েছে। অনেকে এর সঙ্গে গত বছরের জুলাই মাসে শাহবাগ থানার এক পুলিশ কর্মকর্তার আন্দোলনকারীর মুখ চেপে ধরার ছবির তুলনা টেনে কণ্ঠরোধের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করছেন।