মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বললেই কি ফ্যাসিস্টদের দোসর, প্রশ্ন অ্যাডভোকেট ফারজানা ইয়াসমিনের

ফারজানা ইয়াসমিন রাখি
ফারজানা ইয়াসমিন রাখি © ফেসবুক থেকে নেওয়া

দেশের সুপরিচিত আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট ফারজানা ইয়াসমিন রাখি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলোচনার কারণে বক্তাদের গ্রেপ্তার করাকে নজিরবিহীন ও অযৌক্তিক বলেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বললেই কি কেউ ফ্যাসিস্টদের দোসর হয়ে যায়?”

ফারজানা ইয়াসমিন দীর্ঘদিন ধরে দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার সংরক্ষণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। সম্প্রতি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ফুল দিতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার রিকশাচালক মো. আজিজুর রহমানের জামিন প্রক্রিয়ায়ও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) অডিটোরিয়ামে গোলটেবিল বৈঠক চলাকালে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন ও সাংবাদিক মনজুরুল আলম পান্নাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। আদালতে তাঁদের পক্ষে আইনি লড়াই করেন ফারজানা ইয়াসমিন।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, “বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি এমন যে, কেউ যদি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলে, তারা ফ্যাসিস্টের দোসর হয়ে যায়। কারও এখন কোনো বাকস্বাধীনতা নেই।”

অ্যাডভোকেট ফারজানা ইয়াসমিন আরও বলেন, “সাংবাদিক মনজুরুল আলম তো আলোচক হিসেবে গিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কথা বলতে। কিন্তু সেখানে মব সৃষ্টি করে মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যারা মব তৈরি করে দেশের খ্যাতিমান অধ্যাপক, সাংবাদিক ও লেখকদের হেনস্তা করল, তাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি। বরং নিরীহ মানুষদের গ্রেপ্তার করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর চেষ্টা চলছে। এটিও এক ধরনের বিচারিক হয়রানি।”

তিনি আরও বলেন, “গ্রেপ্তার ১৬ জনের পরিবার তাদের জন্য পথ চেয়ে আছে। তাদের কী অপরাধ, তারা জানেন না। তারা তাদের যে মতামত, একটা স্বাধীন রাষ্ট্রে, সেটাই পেশ করেছেন, অথচ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হলো। এটাও ফ্যাসিস্ট আচরণ।”