প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনে আহ্ছানউল্লার শিক্ষার্থীরাও

আন্দোলনরত আবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
আন্দোলনরত আবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা © টিডিসি ফোটো

আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (আবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরাও প্রকৌশলী অধিকার আন্দলোনের ৩ দফা দাবির পক্ষে একাত্মতা   জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ২৪ আগস্ট থেকে  দাবী আদায়ে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করে আসছে তাঁরা। 

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে নাবিস্কো হয়ে ঢাকা পলিটেকনিকের সামনে হয়ে একটি মিছিলে অংশ নেয়। মিছিলে শিক্ষার্থীরা সরকারকে অতি শীঘ্রই প্রকৌশল আন্দোলনের দাবিসমূহ মানার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে গতকাল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাবী আদায়ে যমুনা অভিমুখে রওনা দিলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এলাকায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে ২৫ জন আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

আন্দোলনে আহত হওয়া আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এলাহী মাশরাফি বলেন,"প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন শুধু বুয়েটের না। এটা সকল প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের।  কিন্ত দুঃখ লাগে গতকাল আমাদের ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার পরও মিডিয়া  শুধু বুয়েটের আন্দোলন বলে প্রচার করছে। যৌক্তিক অধিকারে আহছানউল্লাহ্ সবসময় ছিলো,আছে এবং থাকবে।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আশরাফুল হক শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করেছেন এবং শিক্ষার্থীদের সাথে আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন।এসময় তিনি বলেন, “ প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের নায্য দাবীসমূহ যৌক্তিক মনে করে আহছানউল্লাহ্ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের অ্যাকশন অনাকাঙ্ক্ষিত এবং এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষার্থী আহত হয়েছ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।”

উল্লেখ্য তিন দফা দাবিতে দেশজুড়ে সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরতদের প্ল্যাটফর্ম ‘প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন’ গতকাল বুধবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ও পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।