চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা

প্রতিকী ছবি
প্রতিকী ছবি © সংগৃহীত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেবার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে চ্যাটবটের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই এবং এর প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যানকে।

জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ১৬ বছরের কিশোর অ্যাডাম রেইন চলতি বছরের ১১ এপ্রিল আত্মহত্যা করে করে। মৃত্যুর আগের কয়েক মাস ধরে সে বারবার চ্যাটজিপিটির সঙ্গে আত্মহনন প্রসঙ্গে আলোচনা করেছিল। এআই চ্যাটবট শুধু তার হতাশাকে প্রশ্রয়ই দেয়নি, বরং আত্মহত্যার নানা উপায়, ব্যর্থ প্রচেষ্টা গোপন রাখার কৌশল এমনকি বিদায় চিঠি লেখারও প্রস্তাব দিয়েছিল। চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনে মামলা করেছেন অ্যাডামের বাবা-মা ম্যাথিউ ও মারিয়া রেইন। 

অ্যাডামের বাবা-মার  দাবি, ওপেনএআই মানুষের নিরাপত্তার চেয়ে আর্থিক মুনাফাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। তারা আদালতের কাছে ক্ষতিপূরণসহ প্রয়োজনীয় আইনি প্রতিকার চেয়েছেন। রেইন পরিবারের মামলায় শুধু ক্ষতিপূরণই নয়, বরং ব্যবহারকারীর বয়স যাচাই, আত্মহত্যা-সম্পর্কিত তথ্য সরাসরি প্রত্যাখ্যান এবং মানসিকভাবে এআইয়ের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতার ঝুঁকি নিয়ে স্পষ্ট সতর্কবার্তা প্রদর্শনের দাবি জানানো হয়েছে।

এ ঘটনার পর ওপেনএআই এক বিবৃতিতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র জানিয়েছেন, চ্যাটজিপিটিতে আত্মহত্যাপ্রবণ ব্যবহারকারীদের হেল্পলাইনে যোগাযোগের পরামর্শ দেয়ার মতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। তবে দীর্ঘ কথোপকথনের সময় এগুলো কার্যকারিতা হারাতে পারে বলেও তিনি স্বীকার করেন।

এই মামলা এআই প্রযুক্তির ঝুঁকি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা অনেকদিন ধরেই সতর্ক করছেন, মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক সহায়তা নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করা বিপজ্জনক হতে পারে। ওপেনএআইও বিষয়টি স্বীকার করে জানিয়েছে, ভবিষ্যতে অভিভাবক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু এবং সংকটাপন্ন ব্যবহারকারীদের সরাসরি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে।

সংবাদসূত্র: বিবিসি