লুট করা অস্ত্র নিয়ে মুন্সীগঞ্জে পুলিশ ক্যাম্পে হামলা, ব্যাপক গোলাগুলি
- ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১২:০২
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলে সদ্য চালু হওয়া একটি পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যদের ওপর নৌ ডাকাত দলের সদস্যরা গুলি ও ককটেল হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে পুলিশ। উভয় পক্ষের মধ্যে শতাধিক গোলাগুলি হয়েছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেল সোয়া পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টা পর্যন্ত উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পসংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতদলের হাতে থাকা অস্ত্রগুলো থানা থেকে লুট করা বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার বিকেল ৫টার পর ৫/৬টি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন নদীতে মহড়া শুরু করে নৌ-ডাকাত নয়ন-পিয়াস গ্রুপের সদস্যরা। ক্যাম্পের কাছাকাছি জায়গায় এসে প্রথমে ৪/৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে ট্রলার থেকে পুলিশ ক্যাম্প লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে ডাকাত দলের সদস্যরা। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় ডাকাতদের পক্ষ থেকে প্রায় ১০০ রাউন্ড এবং পুলিশের পক্ষ থেকে ২৪ রাউন্ডের মতো গুলিবর্ষণ করা হয়। প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলে। পুলিশের প্রতিরোধের মুখে টিকতে না পেরে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ট্রলার নিয়ে মতলবের দিকে পালিয়ে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা।
গজারিয়া থানার ওসি আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, স্থানীয় ডাকাত পিয়াসের নেতৃত্বে ৫/৬টি ট্রলার নিয়ে কমপক্ষে ৩০/৩৫ জন নৌ-ডাকাত পুলিশ ক্যাম্প লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় সন্ত্রাসীদের পক্ষ থেকে ৪/৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে পুলিশ ক্যাম্প লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে তারা।
তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে আমরাও পজিশন ঠিক করে সন্ত্রাসীদের উদ্দেশে গুলি করতে থাকি। আমাদের দিক থেকে ২৪ রাউন্ডের মতো গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। আমাদের কোনো পুলিশ সদস্য আহত হয়নি। তবে কোনো সন্ত্রাসী আহত হয়েছে কি না তা বলতে পারব না।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, নৌ-ডাকাতরা সম্ভবত চাঁদা তোলার উদ্দেশে নদীতে নেমেছিল। পুলিশ থাকার কারণে তারা সুবিধা করতে পারেনি। উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের কোনো পুলিশ সদস্য আহত হয়নি।