মাদ্রাসায় প্রভাষক পদে সুপারিশের দাবি নিবন্ধিত প্রার্থীদের
- ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:০৫
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ষষ্ঠ নিয়োগে বঞ্চিত প্রার্থীরা মাদ্রাসায় প্রভাষক পদে নিয়োগের দাবি তুলেছেন। তারা বলছেন, ১৮তম নিবন্ধনে কলেজ ও মাদ্রাসা—উভয় পর্যায়ের জন্য একই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। ফলে যোগ্যতা ও মেধার দিক থেকে দুই পর্যায়ের প্রার্থীদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তবু কলেজ পর্যায়ের অধিকাংশ প্রার্থী নিয়োগে বঞ্চিত হয়েছেন।
রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা বলেন, “আমরা ১৮তম নিবন্ধনের আইসিটি (কলেজ) বিষয়ে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক—সব ধাপ সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছি। দীর্ঘ প্রতিযোগিতার লড়াই শেষে শিক্ষকতার দ্বারপ্রান্তে এসে এখন এক অনিশ্চয়তায় পড়েছি।”
তাদের হিসাব অনুযায়ী, ১৮তম নিবন্ধনে আইসিটি বিষয়ে মোট শূন্যপদ ১ হাজার ৬০৪টি। প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৬৬৯ জন। এর মধ্যে কলেজ পর্যায়ে শূন্যপদ মাত্র ১৫১টি, অথচ উত্তীর্ণ প্রার্থী আছেন ১ হাজার ৪৯২ জন। অন্যদিকে মাদ্রাসায় শূন্যপদ ১ হাজার ৪৫৩টি হলেও সেখানে উত্তীর্ণ হয়েছেন মাত্র ১৭৭ জন।
প্রার্থীরা মনে করেন, ১৭তম নিবন্ধনে কলেজ ও মাদ্রাসা পর্যায়কে একত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যা ছিল সময়োপযোগী এবং পরীক্ষার্থীদের জন্য সুবিধাজনক। কিন্তু ১৮তম নিবন্ধনে হঠাৎ এই দুটি পর্যায়কে আলাদা করে ফেলা হয়েছে। এর ফলে প্রার্থীদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে।
তারা আরও জানান, অনেক প্রার্থীর বয়স এখন সীমার শেষ প্রান্তে। ফলে এবার নিয়োগ না পেলে তারা স্থায়ীভাবে সুযোগ হারাবেন। একইসঙ্গে পরিবার নিয়ে আর্থিক ও মানসিক সংকটও চরমে পৌঁছাবে।
তাদের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ না দিলে শিক্ষক সংকট দীর্ঘস্থায়ী হবে। একই ব্যাচের পরীক্ষায় ভিন্ন নিয়ম অনুসরণ করায় স্বচ্ছতা ও সমতার প্রশ্নও উঠবে।
প্রার্থীরা জানান, এর আগে তারা এনটিআরসিএর পরিচালক (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) কামরুল আহছানের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি তাদের বক্তব্য শুনেছেন এবং দাবি যৌক্তিক মনে করে ইতিবাচকভাবে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।
তারা বলেন, “আমরা আশা করি ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে মাদ্রাসায় প্রভাষক পদে আমাদের সুপারিশ দেওয়া হবে। এতে যেমন শিক্ষক সংকট দূর হবে, তেমনি দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণেরও সুযোগ পাব আমরা।”