যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বরখাস্ত সেই জাবি শিক্ষক হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার হওয়া মাহমুদুর রহমান
গ্রেপ্তার হওয়া মাহমুদুর রহমান © সংগৃহীত

যৌন নিপীড়ন ও ভ্রূণ হত্যার দায়ে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক সহকারী প্রক্টর এবং পাবলিক হেলথ ও ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনিকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

শনিবার (২৩ আগস্ট) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভারের ব্যাংক টাউনের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে সাভার মডেল থানার পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা।

তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি হিসেবে মাহমুদুর রহমান জনিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং মামলা নং ৪৪৯২৪।

প্রসঙ্গত,, ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর মাহমুদুর রহমান জনি ও একই বিভাগে সে সময় সদ্য নিয়োগ পাওয়া প্রভাষক আনিকা বুশরা বৈচির একটি অন্তরঙ্গ ছবি (সেলফি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে পোস্টারিং করা হয়। এতে বলা হয়, ‘এভাবেই ললিপপের ভেল্কিতে শিক্ষিকা হলেন আনিকা বুশরা বৈচি। একইসঙ্গে বিভাগের শিক্ষক পদে আবেদনকারী ৪৩তম ব্যাচের আরেক ছাত্রীর সঙ্গে জনির আপত্তিকর এবং অন্তরঙ্গ কথাবার্তার অডিও প্রকাশ্যে আসে। যেখানে মাহমুদুর রহমান জনির কণ্ঠে ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর কথা বলতে শোনা যায়। 

এছাড়াও জনির সঙ্গে ছাত্রলীগের একাধিক নেত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন এবং অশালীন চ্যাটিংয়ের ছবি ও তথ্য প্রকাশ্যে আসলে বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষক—শিক্ষার্থীদের একাংশ। পরে ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে জনির বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পরে জনির বিরুদ্ধে গঠিত হয় স্ট্রাকচার্ড কমিটি। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সিন্ডিকেট সভায় মাহমুদুর রহমান জনিকে স্থায়ী বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।