চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় এআই ও ভাষা শিক্ষায় জোর দিচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: উপাচার্য
- ২৪ আগস্ট ২০২৫, ১৪:৫৩
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর অংশ হিসেবে সিলেবাস সংস্কার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার এবং একাধিক ভাষা শেখানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার রাজধানীর নীলক্ষেতের আইসিএমএবি ভবনে অনুষ্ঠিত চতুর্থ অ্যাকাউন্টিং এডুকেটর্স কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর অন্তত ১০ লাখ শিক্ষার্থী স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করছে। এর মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশই বেকার থাকে। এর প্রধান কারণ পুরোনো ও গতানুগতিক সিলেবাস।” তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম করতে তথ্যপ্রযুক্তি, বিশেষ করে এআই ব্যবহারের পাশাপাশি একাধিক ভাষায় দক্ষ করে তুলতে হবে।
উপাচার্য জানান, দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হিসাবরক্ষণ বিষয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মশালা আয়োজন এবং অধিভুক্ত কলেজে মানসম্মত অডিট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে সফল করতে ইনস্টিটিউট অব কষ্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)-এর সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার পর অবকাঠামো উন্নয়নে যতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সেভাবে পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) অর্জনে সফলতা এলেও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে পিছিয়ে আছি আমরা।’
কনফারেন্সের উদ্বোধনী সেশনে আইসিএমএবির প্রেসিডেন্ট মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের অর্থনীতির আকার বাড়লেও সে অনুযায়ী হিসাবরক্ষণ পেশায় দক্ষ জনবল বাড়েনি। এই সুযোগে দুর্নীতি বাড়ছে। তাই হিসাবরক্ষণ পেশায় দক্ষ জনবল তৈরির পাশাপাশি নৈতিক দৃঢ়তা অপরিহার্য।
দিনব্যাপী আয়োজিত এ কনফারেন্সে আরও বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স গভর্নর জামাল আহমেদ চৌধুরী, এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান মো. কাওসার আলম এবং শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা ড. নিখিল চন্দ্র শীল। সারাদেশ থেকে হিসাবরক্ষণ পেশাজীবী ও শিক্ষকরা এতে অংশ নেন।