সাদা পাথর লুটে প্রশাসনের শীর্ষ ৫ কর্তা

সাদা পাথর লুটে প্রশাসনের শীর্ষ ৫ কর্তা
সাদা পাথর লুটে প্রশাসনের শীর্ষ ৫ কর্তা © সংগৃহীত

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর লুট কান্ডে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী এবং পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানেরও দায় দেখছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের পাশাপাশি  সদ্য সাবেক জেলা প্রশাসক (ওএসডি) শের মাহবুব মুরাদ, কোম্পানীগঞ্জ থেকে বদলি হওয়া ইউএনও আজিজুন্নাহার,  ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজায়ের আল মাহমুদ আদনানের নামও রয়েছে দুদকের প্রতিবেদনে। 

এছাড়াও প্রতিবেদনে সাদাপাথর লুটে বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা মিলিয়ে ৫৩ জনের সম্পৃক্তা পেয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক। 

নজিরবিহীন সাদাপাথর লুটে ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার মধ্যে গত ১৩ আগস্ট দদকের সিলেট কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রাফি মো. নাজমুস সাদাতের নেতৃত্বে একটি টিম সাদাপাথর পরিদর্শন করে। এরপর তারা ১৬ আগস্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্ত প্রতিবেদনে সাদা পাথর লুটের ‘প্রত্যক্ষও পরোক্ষভাবে জড়িত’ এবং ‘সুবিধাভোগী ব্যক্তি ও সংস্থার’ একটি তালিকা দিয়েছে দুদক। এই তালিকায় প্রশাসনের এসব কর্মকর্তাদের কথাও উল্লেখ রয়েছে।

এ প্রতিবেদনে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নিষ্ক্রিয়তা, লুটেরাদের কাছ থেকে কমিশন নেওয়াসহ নানা অভিযোগ আনা হয়েছে।

এদিকে, গতকাল বিভাগীয় কমিশনার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় এক মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘গত ৮ জুলাই আমরা ইজারা নিয়ে কথা বলেছি। পাথর চুরি নিয়ে কিছু বলা হয়নি। পাথরচোরদের উৎসাহিত করার মতো কিছু আমি বলিনি। তেমন কিছু কেউ বললে বা ছড়ালে সেটা ভুল মেসেজ।’