জুলাই অভ্যুত্থানবিরোধী ইবির ১৯ শিক্ষককে শোকজ
- ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১৭:২১
জুলাই-আগস্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিরোধিতা করায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ১৯ শিক্ষককে শোকজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি। তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের হুমকি, ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানিমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ পেয়েছে কমিটি।
সোমবার (১৮ আগস্ট) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অভিযুক্ত শিক্ষকদের আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযুক্তদের কেন শাস্তি দেওয়া হবেনা এই মর্মে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
কারণ দর্শানোর নোটিশ অনুযায়ী অভিযুক্তরা হলেন- ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম, অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিয়া মো. রাশিদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. আক্তারুল ইসলাম জিল্লু, সহযোগী অধ্যাপক ড. আফরোজা বানু, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন, অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল, অধ্যাপক ড. শাহজাহান মন্ডল, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জয়শ্রী সেন, আল-ফিকহ এন্ড ল’ বিভাগের অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম, মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাজেদুল ইসলাম এবং ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান।
আরও পড়ুন: ডাকসুর শিবিরের প্যানেলে সাদিক-ফরহাদসহ যারা আছেন
শোকজ নোটিশ অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে জুলাই আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ইবির ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি-ধামকি, ভীতি প্রদর্শন, মারমুখী আচরণ, গালাগালি, মিছিলে উসকানিমূলক স্লোগান প্রদান এবং পুলিশি গ্রেফতার ও হয়রানির বিষয়ে কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে লিপ্ত থাকার অভিযোগ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এছাড়া ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ৩১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি।
রেজিস্ট্রার জানান, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত অভ্যুত্থানের সময় যে-সব শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থী বিরোধী ভূমিকায় ছিলেন তাদের চিহ্নিত করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটির প্রতিবেদনে ১৯ জন শিক্ষকের ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ৩১ শিক্ষার্থীর নাম উঠে এসেছে। এর মধ্যে ১৯ শিক্ষককে শোকজ নোটিশ দিয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে ভূমিকা রাখা শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে গত ১৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও সময় বাড়িয়ে গত ১৩ আগস্ট উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় তারা। প্রতিবেদনে মোট ৬১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।