পিরোজপুরে মাদ্রাসা অধ্যক্ষসহ ৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা স্থগিত

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার © লোগো

পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার টিকিকাটা আ: ওহাব মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, গবেষণাগার/ল্যাব সহকারী ও নৈশ প্রহরীর বেতন-ভাতা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। একইসঙ্গে কেন তাদের বেতন-ভাতা স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে না সে বিষয়ে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (১৭ আগস্ট) মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শন (বরিশাল বিভাগ) শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার টিকিকাটা আ: ওহাব মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তদন্ত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অধিদপ্তরে প্রতিবেদন পাঠান। ওই প্রতিবেদনে নানা অনিয়ম ও আর্থিক লেনদেনের তথ্য উঠে আসে।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আরবি প্রভাষক মো. আ. হালিম স্বীকার করেছেন যে, তার ছেলে মো. ফয়সালকে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে নিয়োগের জন্য অধ্যক্ষকে তিনি পাঁচ লাখ টাকা প্রদান করেছিলেন। একইভাবে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পাওয়া আরিফুর রহমানের কাছ থেকে অধ্যক্ষ ১০ লাখ টাকা, নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগের জন্য অবসরপ্রাপ্ত নৈশপ্রহরীর ছেলে মহসিনের কাছ থেকে চার লাখ টাকা এবং ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ পাওয়া দ্বীপ কুমার মিত্রের কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা নিয়েছেন।

এছাড়া আরও অভিযোগে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্তির জন্যও নগদ টাকা লেনদেন হয়েছে। আরবি প্রভাষক মনিরুজ্জামান জাল এনটিআরসিএ সনদ ব্যবহার করে নিয়োগ পান এবং তার কাছ থেকেও অর্থ নেওয়া হয়। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। তদন্তে আরও উঠে আসে, কিছু পরীক্ষার নোটিশ ইচ্ছাকৃতভাবে প্রার্থীদের দেওয়া হয়নি এবং প্রার্থীর সংখ্যা বাড়াতে ভুয়া নাম সংযোজন করা হয়েছে।

এসব অনিয়মের প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা স্থগিত করে তাদেরকে আগামী ২০ আগস্ট সকাল ১১টার মধ্যে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় নথিসহ লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।