নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনায় নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ
- ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১৭:২৭
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৮ একরে এক নব নব সাঁজ, জানান দিচ্ছে ভিন্ন এক উৎসবের আমেজ। রঙিন কাগজ আর রংতুলিতে সেজে উঠেছে নজরুল প্রাঙ্গণ। আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ তম ব্যাচকে (২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ) বরণ করে নিতে বিশ্ববিদ্যালয় সদ্য সিনিয়র হওয়া ১৮ তম ব্যাচের (২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থীদের এতো আয়োজন। যাদের এই ব্যস্ত কর্মযজ্ঞে মুখে নেই ক্লান্তির ছাপ। নবীন শিক্ষার্থীদের চোখে-মুখে উচ্ছাস-উদ্দিপনা স্পষ্ট। অনেক অভিভাবক এসেছেন নিজের স্নেহের সন্তানের নতুন অধ্যায়ের অভিষেক উদ্যাপনের সঙ্গী হতে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১১ টায় ওরিয়েন্টেশনের মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের। এছাড়া প্রত্যেক নিজ বিভাগ থেকে নানা আয়োজনে বরণ করে নেওয়া হয় নবীন শিক্ষার্থীদের।
শাহরিয়ার নামের একজন নবীন শিক্ষার্থী অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন, “প্রথমে খুব টেনশন হচ্ছিলো এতো দূর থেকে এসে কোথায় থাকবো কি করবো, পরে সিনিয়র ভাইদের সহায়তায় সব সহজে ব্যবস্থা করতে পেরেছি। ফ্যামিলি থেকে এই প্রথম এতোটা দূরে থাকা। প্রথম প্রথম অস্বস্তি হলেও ব্যাচমেটদের সাথে পরিচয় হওয়ার পর অনেকটা ভালো লাগছে। আমাদের ঘিরে এতো আয়োজন দেখে খুবই ভালো লাগছে।”
সকাল ৯টা থেকেই ক্যাম্পাসে নবীন শিক্ষার্থীদের আনাগোনা শুরু হয়। চুরুলিয়া মঞ্চ, জয়ধ্বনি মঞ্চ, চক্রবাক কাফেটেরিয়া, নজরুল ভাস্কর্যসহ বিভিন্ন স্থানে তাদের পদচারণায় ক্যাম্পাসের পরিবেশ মুখর হয়ে ওঠে।
সামিরা নামের একজন নবীন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আজকে জীবনের অন্যতম একটা সুন্দর দিন কাটাচ্ছি। আব্বু আম্মুসহ আসছে আমার সাথে। খুব উপভোগ করছি সব কিছু। কাঙ্ক্ষিত বিভাগে ভর্তি হতে পেরে আনন্দটা আরও বেড়েছে। সবার ব্যবহার খুবই ফ্রেন্ডলি। আশা করি এই ক্যাম্পাসে খুব সুন্দর একটা সময় কাটাতে পারবো।’
শিক্ষার্থীর সাথে আসা এক অভিভাবক জানান, ‘ঢাকা থেকে এসেছি, খুব একটা দূরত্ব না থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ। আমার সন্তানের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত আজকের দিনটি। বহুতল ভবন, গাছপালা দিয়ে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। দুয়া করি ছেলে-মেয়েরা যেন ভালো একটা ক্যারিয়ার বিল্ড আপ করতে পারে এখান থেকে।’