রাজশাহীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৫৫০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিল ছাত্রশিবির
- ১৯ আগস্ট ২০২৫, ০৭:২৬
রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরিক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৫৫০ কৃতী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ৯টায় নগরীর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহা. শামীম উদ্দীন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর নায়েবে আমির চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন মোটিভেশনাল স্পিকার,অ্যাডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট চেয়ারম্যান আল মামুন রাসেল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইমরান নাজির। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ছাত্রশিবির ও জামায়াতে ইসলামীর অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিবগাতুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটির অধিক তরুণ মাদকে আসক্ত। মাদকের মাধ্যমে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের নতুন আশার আলো তরুণরা আর এই তরুণদের হাত ধরেই দেশের পরিবর্তন আসবে।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে আল মামুন রাসেল একটি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা চান্স পেয়েছে, তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী ছিল জিপিএ-৫ না পাওয়া শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থী হিসেবে তোমাদের জীবনের মাত্র সূচনা হয়েছে। তোমাদের সবার আগে নিজেদের চিনতে হবে, নিজেকে জানতে হবে। বর্তমান বিশ্বে যদি কেউ চিন্তা করে সে রাজশাহীর মধ্যে প্রতিযোগিতা করবে এটা সম্পূর্ণ ভুল। তোমাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে পুরো দেশের সাথে, সমগ্র বিশ্বের সাথে।’
আরও পড়ুন: নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ রাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে
সভাপতির বক্তব্যে মোহা. শামীম উদ্দীন বলেন, ‘ছাত্রশিবির ভালো মানুষ তৈরি করতে চাই। দেশে বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা বাড়ছে কেন? প্রকৃত মানুষের অভাবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেই যে মানুষের মতো মানুষ হয়ে উঠব, এটা না। শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ থাকবে ইন্টারমিডিয়েট সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়টা একদিকে যেমন ভালো কিছু করার, তেমনি খারাপ পথে যাওয়ার জন্যেও মুখ্য সময়টা হলো ইন্টারমিডিয়েট।’
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্য বক্তারা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত কৃতী শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয় এবং বিভিন্ন উপহারসামগ্রী শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।